কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হল শনিবার। তিলোত্তমার বাবা-মা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। সেই অভিযানে সামিল হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি জানিয়েছে, দলীয় পতাকা না নিয়েই এই অভিযানে সামিল হবে তারাও। শান্তিপূর্ণ অভিযানে সম্মতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নবান্ন অভিযান নিয়ে তৎপর কলকাতা পুলিশও। একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ড্রোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে। অভিযান থেকে কোনও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা
বিস্তারিত পড়ুন: Kalighat: হাজরা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় বর্ম পরে দাঁড়িয়ে পুলিশ, শুরু ‘কালীঘাট চলো’ অভিযানের জমায়েত
বিস্তারিত পড়ুন: ঘুরছে মাথা, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, নবান্ন অভিযানে অসুস্থ তিলোত্তমার মা
নবান্ন অভিযানে গিয়ে আহত তিলোত্তমার মা। বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন, “কাকিমার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এই তো পুলিশের চরিত্র।”
নবান্ন অভিযানে যাওয়ার মুখে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড পুলিশের। কলকাতা ঢোকার মুখে কোনা রোডে পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড। অ্যাম্বুল্যান্স যেতে চাইলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বাকি সমস্ত কিছুই চেক করা হচ্ছে। কোনও চারচাকা গাড়ি ও বাস ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা।
তাঁদের ডাকেই এদিনের নবান্ন অভিযান। সেই অভিযানে অংশ নিতে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তিলোত্তমার বাবা-মা যে গাড়িতে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছন, সেই গাড়িতে স্টিকার সাঁটানো। তাতে লেখা, ‘বাংলা নিজের মেয়ের বিচার চায়।’ ডোরিনা ক্রসিংয়ে রয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক।
বিস্তারিত পড়ুন- আরজি কর কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে একটা বছর। গরাদের পিছনে মূল অভিযুক্ত। কিন্তু শুরু থেকেই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তিলোত্তমার পরিবার। পুলিশ তদন্ত প্রশ্ন উঠলে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে। কিন্তু তা নিয়েও দফায় দফায় প্রশ্ন তুলছেন তিলোত্তমার মা-বাবা। বিস্তারিত পড়ুন- ‘ভাল করে ব্যাটিং করতে হবে পুলিশকে’, নবান্ন অভিযান নিয়ে অকপট শওকত
নবান্ন অভিযান শুরু হওয়ার আগেই খিদিরপুর রোড বন্ধ। কন্টেনারগুলির মাঝে একটি বিশেষ নীল রঙের কন্টেনার রয়েছে, যা কলকাতা পুলিশ বিশেষভাবে এনেছে। অ্যাম্বুল্য়ান্স বা বিশেষ কোনও ইমার্জেন্সিতে এই কন্টেনারের দরজা খুলে দেওয়া হবে। ভিতরে কাঠের পাটাতন দিয়ে গাড়ি এপার থেকে ওপারে যেতে পারবে।
রাণী রাসমণী অ্যাভিনিউতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে মহিলা পুলিশও। একটার পর একটা ব্যারিকেড বসানো হয়েছে রাস্তা জুড়ে, পুলিশি ভাষায় যাকে খাঁচা বলে। রাস্তার উপরে ব্যানার ঝোলানো হয়েছে ‘ডু নট ক্রস দিস লাইন’। এখান থেকে আর ওপারে যেতে দেওয়া হবে না। এখনও পর্যন্ত একটি রাস্তা সচল রয়েছে।
ধাপে ধাপে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। শুধু ব্যারিকেড নয়, রাস্তা খুঁড়ে লোহার রড বসানো থেকে শুরু করে কন্টেনার রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামানও। উপস্থিত রয়েছেন লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। নবান্নের অভিমুখে এগিয়ে যাওয়া মিছিলকে আটকাবে গার্ডরেল ও ব্যারিকেড। একটার উপরে আরেকটা ব্যারিকেড দিয়ে দুইজন মানুষের উচ্চতা সমান ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। মাইকিং করা হচ্ছে। কোনওভাবেই যাতে ব্যারিকেড অতিক্রম না করা হয়, সেই বিষয়ে ঘোষণা করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই আন্দোলন করার বার্তা দিচ্ছে পুলিশ। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হাওড়া সিটি পুলিশ।
নবান্ন অভিযানে সামিল হতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিল তামান্না খাতুনের পরিবার। তিলোত্তমার পরিবারের সঙ্গে তামান্নার বাবা-মাও বিচার চাইতে মিছিলে সামিল হতে নদিয়ার পলাশী স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কলকাতা রওনা দিলেন। প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জে বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের বিজয়োল্লাসের সময় বোমার আঘাতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তামান্নার মৃত্যু হয়। তার পরিবারের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ অভিযুক্ত অধরা। তামান্নার মা বলেন, তিনিও মেয়ের খুনের বিচার চাইতে কলকাতায় তিলোত্তমার বাবা-মায়ের সঙ্গে পা মেলাবেন নবান্ন অভিযানে।
এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সবাইকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, নবান্ন অভিযান আটকাতে নানা ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ। কন্টেনার, ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছে। এই নিয়ে এদিন তিলোত্তমার বাবা-মা বলেন, কোনও ব্যারিকেড দিয়ে মানুষের প্রতিবাদ থামানো যাবে না। মানুষের প্রতিবাদে সব ব্যারিকেড উড়ে যাবে।
নবান্ন অভিযানের আগে বিভিন্ন জায়গায় দুর্ভেদ্য দুর্গের মতো ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড় বড় কন্টেনার দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। নবান্ন সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে হাওড়া পুলিশ প্রশাসন। বিভিন্ন রাস্তায় স্টিল ও লোহার ব্যারিকেড এবং উঁচু স্টিলের বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কন্টেনার ছাড়াও জলকামান রাখা হয়েছে।
তৎপর পুলিশ
নবান্ন অভিযানের জেরে শনিবার শহর কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। এই সময়কালে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার গাড়ি চলাচল করতে পারবে। অন্য সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ থাকবে।
যান নিয়ন্ত্রিত রাস্তাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যাসাগর সেতু, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, আরআর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, এমজি রোড, ব্র্যাবোর্ন রোড এবং হাওড়া সেতু।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, শহরে ট্র্যাফিক স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনসাধারণকে রুট প্ল্যান করে বেরোনোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কলকাতা থেকে হাওড়া ব্রিজের ওঠার মুখে করা হয়েছে লোহার ব্যারিকেড। সেই ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, নবান্নর দিকে যেন কোনওরকমভাবে মিছিল না নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে নবান্নের কাছে। পাঁচজনের বেশি জমায়েত করতে বারণ করা হচ্ছে। হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে ফুটপাত এবং হাওড়া ব্রিজের রাস্তার উপরে লাগানো হচ্ছে লোহার ব্যারিকের মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হল শনিবার। তিলোত্তমার বাবা-মা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। সেই অভিযানে সামিল হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি জানিয়েছে, দলীয় পতাকা না নিয়েই এই অভিযানে সামিল হবে তারাও। শান্তিপূর্ণ অভিযানে সম্মতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নবান্ন অভিযান নিয়ে তৎপর কলকাতা পুলিশও। একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ড্রোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে। অভিযান থেকে কোনও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা
বিস্তারিত পড়ুন: Kalighat: হাজরা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় বর্ম পরে দাঁড়িয়ে পুলিশ, শুরু ‘কালীঘাট চলো’ অভিযানের জমায়েত
বিস্তারিত পড়ুন: ঘুরছে মাথা, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, নবান্ন অভিযানে অসুস্থ তিলোত্তমার মা
নবান্ন অভিযানে গিয়ে আহত তিলোত্তমার মা। বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন, “কাকিমার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এই তো পুলিশের চরিত্র।”
নবান্ন অভিযানে যাওয়ার মুখে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড পুলিশের। কলকাতা ঢোকার মুখে কোনা রোডে পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড। অ্যাম্বুল্যান্স যেতে চাইলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বাকি সমস্ত কিছুই চেক করা হচ্ছে। কোনও চারচাকা গাড়ি ও বাস ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা।
তাঁদের ডাকেই এদিনের নবান্ন অভিযান। সেই অভিযানে অংশ নিতে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তিলোত্তমার বাবা-মা যে গাড়িতে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছন, সেই গাড়িতে স্টিকার সাঁটানো। তাতে লেখা, ‘বাংলা নিজের মেয়ের বিচার চায়।’ ডোরিনা ক্রসিংয়ে রয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক।
বিস্তারিত পড়ুন- আরজি কর কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে একটা বছর। গরাদের পিছনে মূল অভিযুক্ত। কিন্তু শুরু থেকেই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তিলোত্তমার পরিবার। পুলিশ তদন্ত প্রশ্ন উঠলে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে। কিন্তু তা নিয়েও দফায় দফায় প্রশ্ন তুলছেন তিলোত্তমার মা-বাবা। বিস্তারিত পড়ুন- ‘ভাল করে ব্যাটিং করতে হবে পুলিশকে’, নবান্ন অভিযান নিয়ে অকপট শওকত
নবান্ন অভিযান শুরু হওয়ার আগেই খিদিরপুর রোড বন্ধ। কন্টেনারগুলির মাঝে একটি বিশেষ নীল রঙের কন্টেনার রয়েছে, যা কলকাতা পুলিশ বিশেষভাবে এনেছে। অ্যাম্বুল্য়ান্স বা বিশেষ কোনও ইমার্জেন্সিতে এই কন্টেনারের দরজা খুলে দেওয়া হবে। ভিতরে কাঠের পাটাতন দিয়ে গাড়ি এপার থেকে ওপারে যেতে পারবে।
রাণী রাসমণী অ্যাভিনিউতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে মহিলা পুলিশও। একটার পর একটা ব্যারিকেড বসানো হয়েছে রাস্তা জুড়ে, পুলিশি ভাষায় যাকে খাঁচা বলে। রাস্তার উপরে ব্যানার ঝোলানো হয়েছে ‘ডু নট ক্রস দিস লাইন’। এখান থেকে আর ওপারে যেতে দেওয়া হবে না। এখনও পর্যন্ত একটি রাস্তা সচল রয়েছে।
ধাপে ধাপে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। শুধু ব্যারিকেড নয়, রাস্তা খুঁড়ে লোহার রড বসানো থেকে শুরু করে কন্টেনার রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামানও। উপস্থিত রয়েছেন লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। নবান্নের অভিমুখে এগিয়ে যাওয়া মিছিলকে আটকাবে গার্ডরেল ও ব্যারিকেড। একটার উপরে আরেকটা ব্যারিকেড দিয়ে দুইজন মানুষের উচ্চতা সমান ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। মাইকিং করা হচ্ছে। কোনওভাবেই যাতে ব্যারিকেড অতিক্রম না করা হয়, সেই বিষয়ে ঘোষণা করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই আন্দোলন করার বার্তা দিচ্ছে পুলিশ। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হাওড়া সিটি পুলিশ।
নবান্ন অভিযানে সামিল হতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিল তামান্না খাতুনের পরিবার। তিলোত্তমার পরিবারের সঙ্গে তামান্নার বাবা-মাও বিচার চাইতে মিছিলে সামিল হতে নদিয়ার পলাশী স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কলকাতা রওনা দিলেন। প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জে বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের বিজয়োল্লাসের সময় বোমার আঘাতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তামান্নার মৃত্যু হয়। তার পরিবারের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ অভিযুক্ত অধরা। তামান্নার মা বলেন, তিনিও মেয়ের খুনের বিচার চাইতে কলকাতায় তিলোত্তমার বাবা-মায়ের সঙ্গে পা মেলাবেন নবান্ন অভিযানে।
এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সবাইকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, নবান্ন অভিযান আটকাতে নানা ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ। কন্টেনার, ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছে। এই নিয়ে এদিন তিলোত্তমার বাবা-মা বলেন, কোনও ব্যারিকেড দিয়ে মানুষের প্রতিবাদ থামানো যাবে না। মানুষের প্রতিবাদে সব ব্যারিকেড উড়ে যাবে।
নবান্ন অভিযানের আগে বিভিন্ন জায়গায় দুর্ভেদ্য দুর্গের মতো ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড় বড় কন্টেনার দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। নবান্ন সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে হাওড়া পুলিশ প্রশাসন। বিভিন্ন রাস্তায় স্টিল ও লোহার ব্যারিকেড এবং উঁচু স্টিলের বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কন্টেনার ছাড়াও জলকামান রাখা হয়েছে।
তৎপর পুলিশ
নবান্ন অভিযানের জেরে শনিবার শহর কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। এই সময়কালে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার গাড়ি চলাচল করতে পারবে। অন্য সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ থাকবে।
যান নিয়ন্ত্রিত রাস্তাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যাসাগর সেতু, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, আরআর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, এমজি রোড, ব্র্যাবোর্ন রোড এবং হাওড়া সেতু।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, শহরে ট্র্যাফিক স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনসাধারণকে রুট প্ল্যান করে বেরোনোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কলকাতা থেকে হাওড়া ব্রিজের ওঠার মুখে করা হয়েছে লোহার ব্যারিকেড। সেই ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, নবান্নর দিকে যেন কোনওরকমভাবে মিছিল না নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে নবান্নের কাছে। পাঁচজনের বেশি জমায়েত করতে বারণ করা হচ্ছে। হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে ফুটপাত এবং হাওড়া ব্রিজের রাস্তার উপরে লাগানো হচ্ছে লোহার ব্যারিকের মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।