কলকাতা: নবান্ন অভিযানকারী বাম যুব নেতার মৃত্যু ঘিরে ফের উত্তপ্ত হচ্ছে কলকাতা। ‘দেহ লোপাটের আশঙ্কা’ করে সকাল থেকেই মর্গের সামনে যুব নেতা কর্মীদের ভিড়। তাঁদের হুঁশিয়ারি “আমাদের থেকে এই দেহ লোপাট করা এত সোজা হবে না। রাজ্যজুড়ে বড় আন্দোলনে নামব আমরা।”
সোমবারই কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় নবান্ন অভিযানে জখম মইদুল ইসলাম মিদ্যা (৩১) নামে ডিওয়াইএফআই কর্মীর। ‘পুলিশের নারকীয় অত্যাচার’কে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে ডিওয়াইএফআই কর্মী ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, “আমরা আমাদের এক কমরেডকে হারালাম। পুলিশের মারে প্রাণ গিয়েছে তাঁর। নবান্ন অভিযানের দিন থেকে আরও এক কমরেডকে খুঁজে পাচ্ছি না। আশঙ্কা করছি মারাত্মক খারাপ কিছু ঘটেছে। এই রক্তপিপাসু সরকারকে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা সকাল থেকেই আছি। এরা সব করতে পারে। দেহ লোপাটও করতে পারে।” একই সুর চড়িয়ে আরেক ডিওয়াইএফআই কর্মী বলেন, “পুলিশ বলছে জায়গা খালি করতে। যাতে দেহ লোপাটে সুবিধা হয়। আমরা আমাদের সাথীকে হারিয়েছি। এত সহজে পুলিশ প্রশাসন আজ দেহ নিয়ে যেতে পারবে না।”
আরও পড়ুন: ‘লাঠির আঘাতে কিডনি ড্যামেজ’, নবান্ন অভিযানকারী ডিওয়াইএফআই কর্মীর মৃত্যু
উল্লেখ্য কড়া নিরাপত্তার বলয়ে এদিন বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে মহম্মদ আলি পার্ক সংলগ্ন মর্গে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মইদুলের দেহ। দেহ মর্গের সামনে পৌঁছতেই বাম ছাত্র যুবরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। পুলিশ তাদের বাধা দিলে খানিকটা উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। এরপরই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে লালবাজারের বিরাট বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়না তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।
এ দিকে রবিবারই মইদুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর শেক্সপিয়র সরণি থানায় জানানো হয়। তারা মইদুলের সঙ্গে কথা বলে। এই যুব নেতার বয়ানও নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এ বয়ানে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিহত যুব নেতা।