
কলকাতা: রাজ্যে এসআইআর চলছে। নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার আর তিন মাসও বাকি নেই। তার মধ্যেই রাজ্য পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্দিষ্ট করে তিন জনের বিরুদ্ধে CEC জ্ঞানেশ কুমারের কাছে চিঠিও করেন তিনি। তারই মধ্যে রাজ্যে আবার পুলিশের উচ্চ পদস্থ পর্যায়ে রদবদল। মালদহ, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার পুলিশ সুপার বদল করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে ৪০ জন আইপিএস বদলি হলেন।
১. ঝাড়গ্রামের পুলিশ অরিজিৎ সিনহাকে বদলি করা হল মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি হিসাবে।
২. বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারিকে এখন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার করা হল।
৩. পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার ছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্তমানে তিনি মালদহের পুলিশ সুপার হলেন।
৪. প্রদীপ কুমার যাদব, এতদিন তিনি মালদহের পুলিশ সুপার ছিলেন, এখন উত্তর দিনাজপুর ট্র্যাফিকে পাঠানো হল ।
৫. আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ছিলেন ওয়াই রঘুবংশী। তিনি এখন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার হলেন।
৬. পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে রাজ্যের এসএসআইবি করা হল।
৭. খানদালে উপেশ জ্ঞানপত, এতদিন তিনি জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার পদে ছিলেন, এখন আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার।
৮. মহম্মদ সানা আখতার, আগে ছিলেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, এখন আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটি কমিশনার।
৯. ড. সোনাওয়ানে কুলদীপ সুরেশ রাজ্যের এসএসআইবি হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এখন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
১০. সৌমদীপ ভট্টাচার্য, আগে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার, এখন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার।
১১. মনভ সিংলা, আগে ছিলেন নিউটাউন, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার; এখন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার।
১২. বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন পলাশ চন্দ্র ঢালি, এখন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার।
১৩. শুভেন্দ্র কুমার, আগে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দায়িত্ব সামলাতেন; এখন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে এক জন সাব ইন্সপেক্টর, একজন ইন্সপেক্টর, আরেক জন এসইপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্তার বক্তৃতার ক্লিপিংস সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবার এই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। এই বক্তব্যের মধ্যে তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তবে নবান্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এটি রুটিন মাফিক রদবদল।