কলকাতা: সিবিআই (CBI)-এর কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। হাইভোল্টেজ নারদ মামলা (Narada Case) অন্যত্র সরানোর আর্জি জানান সিবিআই। হেভিওয়েটদের জামিন মঞ্জুরের পরেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নতুন করে এই মর্মে আবেদন করে সিবিআই। নারদ-কাণ্ডে প্রভাবশালী তত্ত্ব কতটা যুক্তিযুক্ত? সোমবার হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে সেই মামলারই শুনানি।
হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত অভিযুক্ত চার হেভিওয়েট নেতাই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ঘরে ফিরে ব্যস্ত ফিরহাদ-সুব্রত-মদন মিত্র ব্যস্ত ইয়াস-করোনা বিপর্যয় মোকাবিলায়। তাঁদের জামিন আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের পর হাইকোর্টেরও মুখ পুড়েছে সিবিআই-এর। কিন্তু হাল ছাড়েননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
জামিন তো হয়ে গিয়েছে, কিন্তু হেভিওয়েট এই মামলা কি অন্যত্র সরানো সম্ভব? কারণ বাংলায় তাদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। নারদকাণ্ডে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তা কতটা যুক্তিযুক্ত, আজ সেটারই বিচার করবে কলকাতা হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
প্রথম থেকেই এই মামলায় দুটি ইস্যুকে সামনে রেখে আটঘাঁট বেঁধে নেমেছিল সিবিআই। এক. চার হেভিওয়েটের জামিন স্থগিত। দুই. মামলাটি অন্যত্র সরানো। এক্ষেত্রে নিজাম প্যালেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা, তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ, নিম্ন আদালতে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতি- ১৭ মে অর্থাৎ চার হেভিওয়েটের গ্রেফতারের পর গোটা ঘটনাক্রমকে সামনে রেখে ঘুঁটি সাজায় সিবিআই। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা, সিবিআইয়ের কাজে বাধাদান এবং নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করার মতো বিষয়গুলো সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্ভবত দিল্লি যাচ্ছেন না আলাপন, মমতার পাশেই থাকছেন নবান্নের ইয়াস-বৈঠকে
২৪ মে বৃহত্তর বেঞ্চে চার হেভিওয়েটের জামিন সংক্রান্ত শুনানি হলেও কোনও রায় ঘোষণা হয়নি। মধ্যরাতে নাটকীয়ভাবে সিবিআই আর্জি জানায় সুপ্রিম কোর্টে। ২৫ মে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত। মামলাটি ফের ফেরে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চেই। এরপর জামিন মঞ্জুর হয়ে যায় চার হেভিওয়েটের। এবার এই মামলার বাকি অংশটা অর্থাৎ নারদ মামলা অন্যত্র সরানো সম্ভব কিনা, তা নিয়ে লড়ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ বৃহত্তর বেঞ্চে সেই মামলারই শুনানি।