সম্ভবত দিল্লি যাচ্ছেন না আলাপন, মমতার পাশে থেকেই নবান্নে করবেন ইয়াস-বৈঠক!
হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। কী করবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay)? বদলি নিয়ে চাপানউতোর রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতির ইস্যুও।
কলকাতা: হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। কী করবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay)? বদলি নিয়ে চাপানউতোর রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতির ইস্যুও।
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, রাজ্য না ছাড়ায় আজ সম্ভবত দিল্লি যাচ্ছেন না তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সকালে এয়ার ইন্ডিয়া কিংবা এয়ার এশিয়া দিল্লিগামী বিমানে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুকিংয়ের কোনও খবর নেই।
সূত্র বলছে, তিনি থাকবেন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষয়ক্ষতি-পর্যালোচনা বৈঠকে। দুপুর তিনটেয় সেই বৈঠক হবে। দফতরের সব কর্মী ও আধিকারিকদের আসতে বলেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল ১০টার মধ্যেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, দিল্লি যাচ্ছেন না তিনি। তার আগে সকাল নবান্নে ভিসি করবেন তিনি।
এবার প্রশ্ন উঠছে, আইনের দ্বারস্থ নাকি কেন্দ্র-রাজ্য সমঝোতায় শীর্ষ আমলার বদলি স্থগিত? এসব জল্পনার মাঝেই রবিবার সস্ত্রীক নবান্নে যান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাজ্যের তরফে দুটি সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে এই বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করে অনুরোধ করতে পারে, যাতে এই বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়। কারণ করোনা ও ইয়াসের বিপর্যয়ের সময়ে শীর্ষ আমলাকে প্রয়োজন। কিন্তু তাতে কাজ না হলে রাজ্য আইনের পথে হাঁটতে পারে। আইনি ভাষাতেই স্পষ্ট জানাতে পারে, বিপর্যয়ের সময়ে শীর্ষ আমলাকেই বাংলার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে রিলিজ করা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয় আরও একটি পন্থা রয়েছে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল ও হাইকোর্টে যেতে পারেন। কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব গ্রহণ না করে অবসরও নিতে পারেন। তবে উল্লেখ্য, আলাপন ইস্যুতে অস্বস্তি এড়াতে এবার সরাসরি সেন্সরের পথে পদ্ম শিবির। রাজ্যের মুখ্যসচিব বদলি নিয়ে একটিও কথা নয়। দিল্লির নির্দেশ মুখে কুলুপ বঙ্গ বিজেপির।