কলকাতা : গত কয়েকদিন আগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হুমকি দেওয়ার যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনায় শাসক দলকে বার্তা দিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। উপাচার্যের পদকে সম্মান জানানোর কথা বলেছেন তিনি। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নওশাদ বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের নিজস্ব সম্পত্তি ও টাকা দিয়ে তৈরি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তা নিয়ে কেউ ছেলেখেলা করতে চাইলে সংখ্যালঘু সমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যা হয়েছে তা বাংলার গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।’
নওশাদ জানান, তিনি নিজে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তিনিও একসময় তৎকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। কিন্তু, অসম্মানজনক কোনও কথা না বলেই আন্দোলন করেছেন বলে জানান তিনি। ভাঙড়ের বিধায়ক জানান, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা তিনিও শুনেছেন। তা সত্ত্বেও ওই পদের একটা সম্মান রয়েছে, তাকে মর্যাদা দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ দিকে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই বিতর্কের মাঝেই ভাইরাল হয়েছে একটি অডিয়ো ক্লিপ। যে দু জন হেভিওয়েট নেতার নাম অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, তাঁরা যদি যুক্ত থাকেন, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন নওশাদ। ফিরহাদ হাকিম, গোলাম রব্বানির নাম শোনা যাচ্ছে ওই ক্লিপে। নাম রয়েছে সায়নী ঘোষেরও। এ কথা উল্লেখ করে নওশাদ জানান, যে দুজন মন্ত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা যদি যুক্ত না হন, তাহলে তাঁরা যেন আইনের দ্বারস্থ হন।
একজন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর এই ঘটনা নিন্দাজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। যাঁরা অসামাজিক কাজ করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক, এমন দাবিই জানিয়েছেন নওশাদ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তৃণমূল দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও সোশ্যাল মিডিয়াই বলে দিচ্ছে, আলিয়া-কাণ্ডে অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী।