কলকাতা: অতিমারিতেও হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital) অচলাবস্থা। আন্দোলনের গেঁড়োয় পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। দিনের পর দিন পড়ুয়া-কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েনে জেরবার স্বাস্থ্য পরিষেবা শহরের প্রথম সারির মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু কারও দাবি আদায়ের লড়াইয়ের মূল্য কেন চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে? ডাক্তারের আন্দোলনে কেন মরতে হবে রোগীকে? কেনই বা কর্তৃপক্ষ কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারছে না? এই সমস্ত প্রশ্ন তুলছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন একের পর এক রোগী। সে এক চরম অসহায়তার ছবি আরজি কর মেডিকেলে। এবার রোগী-রেফার আটকাতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল আরজি কর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পরিস্থিতি সামলাতে মঙ্গলবার হাসপাতালের ৩৮টি বিভাগের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ডিএমই-এর।
আরজি কর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি বিকাশ ঘোষ বলেন, “স্বাস্থ্য সচিব স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখতে হবে। কোনও মতেই যাতে তা ব্যাহত না হয় আমরা তা দেখব। এমএসভিপি, ডেপুটি সুপার এবং প্রশাসন মনিটর করবে। ইন্টার্ন হাউজস্টাফ পিজিটিদের বড় অংশ এখন অনুপস্থিত। তাঁদের এই অভাব তো পুরোপুরি মেটানো যাবে না। তবে আমরা ফ্যাকাল্টিরা সাধ্যাতীত চেষ্টা করবেন যাতে পরিষেবা চালু রাখা যায়। স্বাস্থ্য ভবন থেকে যা করতে বলা হবে, তাই করা হবে। আর যে ডিউটি করবে না তাকে অ্যাবসেন্ট করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তা করাও হচ্ছে।”
চারপাশে যখন করোনার এমন বিপদ, তখন হাসপাতালে এই অচলাবস্থা! এই জট কাটাতে স্বাস্থ্য ভবনও এবার পুরোদমে ময়দানে নামার পরিকল্পনা নিচ্ছে। সোমবারই অচলাবস্থা কাটাতে আরজি করের মেন্টররা স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক করেন। তাঁরা জানান, যে কোনও উপায়েই পরিষেবা সচল রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে স্বাস্থ্য ভবন।
রবিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান-সহ সরকারের প্রতিনিধি ও আরজি করের মেন্টর কমিটির সদস্যরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। যদিও সে বৈঠক নিষ্ফলাই থেকে গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের তরফে যে ছ’জন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপরই আন্দোলনকারীদের একজন এসে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে যান, বৈঠক নিষ্ফলা! তিনি বলেন, “আজ যে আপৎকালীন বৈঠক হল সেটা সম্পর্কে আমাদের সকলকে সঠিক ভাবে অবগত করা হয়নি। যেহেতু এই আন্দোলনে আরজি করের ফার্স্ট ইয়ার থেকে ইন্টার্ন এবং পিজিডি পর্যন্ত সকলে জড়িত তাই সকলের সঙ্গে আলোচনা না করে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারছি না। আপাতত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
যদিও এ নিয়ে চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ’র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন বলেন, “এটা একটা প্রতিনিধিত্বমূলত মিটিং ছিল। সকলে যদি না জানত, তা হলে তাদের ছ’জন প্রতিনিধি এল কোথা থেকে? সরকার যে মেন্টার গ্রুপ তৈরি করেছে, তার পাঁচ প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন সকলকে আসতে। এরপরই ছয় প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়।”
অনড় দু’পক্ষই। আর এই কর্মবিরতির জেরে রোগীদের হয়রানি তুঙ্গে। এবার সেই হয়রানি বন্ধে হেল্পলাইন নম্বর চালু আরজিকর কর্তৃপক্ষের। হেল্পলাইন নম্বর ৯৪৩৩০০৩৪০০। কোনও রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হলে বা চিকিৎসাধীন রোগী পরিষেবা না পেলে এই নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারেন রোগীর পরিজনেরা।
আরও পড়ুন: Covaxin: ‘আমরা জানি অনেকেই অপেক্ষায় আছেন, কিন্তু…’, কোভ্যাক্সিনে ছাড়পত্র দিতে কেন এত দেরি?
কলকাতা: অতিমারিতেও হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital) অচলাবস্থা। আন্দোলনের গেঁড়োয় পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। দিনের পর দিন পড়ুয়া-কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েনে জেরবার স্বাস্থ্য পরিষেবা শহরের প্রথম সারির মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু কারও দাবি আদায়ের লড়াইয়ের মূল্য কেন চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে? ডাক্তারের আন্দোলনে কেন মরতে হবে রোগীকে? কেনই বা কর্তৃপক্ষ কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারছে না? এই সমস্ত প্রশ্ন তুলছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন একের পর এক রোগী। সে এক চরম অসহায়তার ছবি আরজি কর মেডিকেলে। এবার রোগী-রেফার আটকাতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল আরজি কর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পরিস্থিতি সামলাতে মঙ্গলবার হাসপাতালের ৩৮টি বিভাগের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ডিএমই-এর।
আরজি কর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি বিকাশ ঘোষ বলেন, “স্বাস্থ্য সচিব স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখতে হবে। কোনও মতেই যাতে তা ব্যাহত না হয় আমরা তা দেখব। এমএসভিপি, ডেপুটি সুপার এবং প্রশাসন মনিটর করবে। ইন্টার্ন হাউজস্টাফ পিজিটিদের বড় অংশ এখন অনুপস্থিত। তাঁদের এই অভাব তো পুরোপুরি মেটানো যাবে না। তবে আমরা ফ্যাকাল্টিরা সাধ্যাতীত চেষ্টা করবেন যাতে পরিষেবা চালু রাখা যায়। স্বাস্থ্য ভবন থেকে যা করতে বলা হবে, তাই করা হবে। আর যে ডিউটি করবে না তাকে অ্যাবসেন্ট করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তা করাও হচ্ছে।”
চারপাশে যখন করোনার এমন বিপদ, তখন হাসপাতালে এই অচলাবস্থা! এই জট কাটাতে স্বাস্থ্য ভবনও এবার পুরোদমে ময়দানে নামার পরিকল্পনা নিচ্ছে। সোমবারই অচলাবস্থা কাটাতে আরজি করের মেন্টররা স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক করেন। তাঁরা জানান, যে কোনও উপায়েই পরিষেবা সচল রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে স্বাস্থ্য ভবন।
রবিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান-সহ সরকারের প্রতিনিধি ও আরজি করের মেন্টর কমিটির সদস্যরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। যদিও সে বৈঠক নিষ্ফলাই থেকে গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের তরফে যে ছ’জন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপরই আন্দোলনকারীদের একজন এসে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে যান, বৈঠক নিষ্ফলা! তিনি বলেন, “আজ যে আপৎকালীন বৈঠক হল সেটা সম্পর্কে আমাদের সকলকে সঠিক ভাবে অবগত করা হয়নি। যেহেতু এই আন্দোলনে আরজি করের ফার্স্ট ইয়ার থেকে ইন্টার্ন এবং পিজিডি পর্যন্ত সকলে জড়িত তাই সকলের সঙ্গে আলোচনা না করে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারছি না। আপাতত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
যদিও এ নিয়ে চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ’র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন বলেন, “এটা একটা প্রতিনিধিত্বমূলত মিটিং ছিল। সকলে যদি না জানত, তা হলে তাদের ছ’জন প্রতিনিধি এল কোথা থেকে? সরকার যে মেন্টার গ্রুপ তৈরি করেছে, তার পাঁচ প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন সকলকে আসতে। এরপরই ছয় প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়।”
অনড় দু’পক্ষই। আর এই কর্মবিরতির জেরে রোগীদের হয়রানি তুঙ্গে। এবার সেই হয়রানি বন্ধে হেল্পলাইন নম্বর চালু আরজিকর কর্তৃপক্ষের। হেল্পলাইন নম্বর ৯৪৩৩০০৩৪০০। কোনও রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হলে বা চিকিৎসাধীন রোগী পরিষেবা না পেলে এই নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারেন রোগীর পরিজনেরা।
আরও পড়ুন: Covaxin: ‘আমরা জানি অনেকেই অপেক্ষায় আছেন, কিন্তু…’, কোভ্যাক্সিনে ছাড়পত্র দিতে কেন এত দেরি?