CAA-তে আবেদনের রসিদকে মান্যতা দেওয়া হোক SIR-এ, হাইকোর্টে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

Plea in Calcutta High Court: গত ২৭ অক্টোবর বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া শুরু করেছে বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO)। এদিকে, এইসময় ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সিএএ-তে আবেদন করছেন অনেকে।

CAA-তে আবেদনের রসিদকে মান্যতা দেওয়া হোক SIR-এ, হাইকোর্টে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
সোমবার আবেদনের শুনানির সম্ভাবনাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 08, 2025 | 4:20 PM

কলকাতা: বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের(SIR) আবহেই অনেকে সিএএ(CAA)-তে আবেদন করছেন। কিন্তু, তাঁরা কি এসআইআর-এ নাম তুলতে পারবেন? কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এবার সিএএ-তে আবেদনকারীরা যাতে সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেন, তার জন্য আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। সিএএ-তে আবেদনের রসিদকে যাতে এসআইআরের ক্ষেত্রে অনুমোদন করা হয়, হাইকোর্টে সেই আবেদন জানাল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা।

গত ২৭ অক্টোবর বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া শুরু করেছে বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO)। এদিকে, এইসময় ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সিএএ-তে আবেদন করছেন অনেকে। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে। এই অবস্থায় সিএএ-তে আবেদনকারীরা যাতে বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি হাইকোর্টে এদিন আবেদন জানায়।

আবেদনে বলা হয়, বহু মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য সিএএ-তে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের রসিদকে এসআইআর-র ক্ষেত্রে অনুমোদন করা হোক। সেই আবেদনের রসিদগুলি যদি এসআইআর-এ গ্রহণযোগ্যতা না পায়, তাহলে আবেদনকারীরা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবেন বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আইনজীবী সওয়াল করেন। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। সোমবার আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

মামলাকারীর আইনজীবী প্রসূন মৈত্র টিভি ৯ বাংলাকে জানিয়েছেন, “আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে যেখানে ছমাস এমনকী এগারো মাস কেটে যাওয়ার পরও তাঁদের আবেদনের সুরাহা হয়নি। আমরা যখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি মুসলমান বাদ দিয়ে প্রতিবেশী দেশের হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন এদের সকলকে নাগরিকত্ব দেব, তাহলে মান্যতা দিতে পারছি না কেন?”

এর আগেও হাইকোর্টে এসআইআর নিয়ে মামলা হয়েছে। হাইকোর্টের নজরদারিতে এসআইআর প্রক্রিয়া যাতে হয়, সেই আবেদন জানানো হয়। গতকাল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ওই মামলায় হলফনামা দিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে।