কলকাতা: এই শহর মোটেই মধ্যযুগীয় নয়। মোঘল আমলের ছাপও তেমন নেই। আছে শুধু একটি ঔপনিবেশিক জনপদ। তবে, অন্য যে কোনও বাণিজ্যনগরীর মতো এই শহরেও গড়ে উঠেছে বহু গণিকালয়। কেমন ছিল এই গণিকালয়? কীভাবে গড়ে উঠেছিল সেগুলি? এই সব গণিকালয়গুলি গড়ে ওঠার পিছনে সমাজতাত্ত্বিক কারণ কী? এই অঞ্চল কি শুধু কালো অন্ধকারে ঘেরা? না এর মধ্যেও আছে আলোর নিশানা? গণিকা পেশায় যুক্ত মানুষের জীবনযুদ্ধের সাতকাহন কীরকম? এই নিউজ সিরিজ খুঁজবে তারই উত্তর।
কলকাতায় যৌনপল্লীর সংখ্যা অনেক। উত্তর থেকে দক্ষিণে এই শহরে গণিকালয়গুলিতে কাজ করেন প্রায় হাজার আশি যৌনকর্মী। মূলত প্রাচীন কলকাতার দুটি রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছিল মহানগরীর সমস্ত যৌনপল্লী। প্রথমটি হল চিৎপুর থেকে কালীঘাটগামী রাস্তা। আর পরেরটি লালদিঘি থেকে বউবাজারগামী রাস্তা। এছাড়া বন্দরের নাবিকদের জন্য খিদিরপুর, ইংরেজদের ‘আপ্যায়নের’ জন্য জানবাজার ইত্যাদি অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল গণিকালয়।
অনেক ইতিহাসবিদের মতে, পূর্বে কর্নওয়ালিস স্ট্রিট ও পশ্চিমে চিতপুরের মাঝের পুরো জায়গাটা নিয়েই পতিতাদের উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল। আর মজার বিষয় হল, সেই জায়গার প্রকৃত মালিক ছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। আর এই উপনিবেশ বা নিষিদ্ধ পল্লীর স্থাপনাই হয়েছিল নাকি সেই জমিদার ‘বাবু’র উদ্যোগেই। কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, সেই আমলে বিখ্যাত “বাবু” সম্প্রদায়ভুক্ত বাঙালিদের বেশির ভাগ বাবুদের একাধিক উপপত্নী থাকাটা ছিল সে সময়ের “বাবু কালচার”। সেকালের বাবুদের বারবনিতা-বিলাস ছিল রীতিমতো একটা ব্যাপার। কিন্তু ঘরে পত্নীর সঙ্গে তো আর উপপত্নী রাখা যায় না । সেই ‘সমস্যা’র কথা মাথায় রেখে “বাবু সম্প্রদায়” তাদের উপপত্নীদের রাখার ব্যবস্থা করলেন বর্তমানের “সোনাগাছি”-তে ।
পুরনো দলিল ঘাঁটলে জানা যায়, ১৮৫৩ সালে যেখানে কলকাতার বারবনিতাদের সংখ্যা ১২,৪১৯। ১৮৬৭ সালে সেই সংখ্যাই বেড়ে একলাফে দাঁড়ায় ৩০,০০০-এ। সময় গিয়েছে, এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন যৌনপল্লী। শহরের শিক্ষিত ভদ্রলোকের নজরে এই পল্লীগুলির উপস্থিতি বিড়ম্বনার ছিল। এরপরেও যৌনপল্লীগুলো নিজের স্বতন্ত্র বজায় রেখে প্রবাহমান সময়ের মধ্যে টিকে রয়েছে। মজার ব্যাপার, আর ততই গাঢ় হয়েছে লালবাতির মহল্লাগুলির সম্পর্কে তথাকথিত ভদ্র সমাজের কপটতা।
১৮৬২ সালে নগরকথক কালীপ্রসন্ন সিংহ লিখছেন “বেশ্যাবাজিটা আজকাল এই শহরে বাহাদুরের কাজ ও বড়মানুষের এলবাত পোশাকের মধ্যে গণ্য, অনেক বড়মানুষ ভুকাল হল মরে গ্যাচেন কিন্তু তাঁদের রাঁড়ের বাড়িগুলি আজও মনিমেন্টের মত এঁদের স্মরণার্থ রয়েছে … কলকাতা শহর এই মহাপুরুষদের জন্য বেশ্যাশহর হয়ে পড়েচে, এমন ঘর নাই যেথায় দশঘর বেশ্যা নাই; হেথায় প্রতি বৎসর বেশ্যার সংখ্যা বৃদ্ধি বই কমচে না।”
কলকাতার যৌনপল্লী হিসেবে প্রথমেই নাম উঠে আসে সোনাগাছির। উনিশ শতকের কলকাতায় গণিকারা শহরের প্রতিটা অংশে বসবাস করলেও আসল কেন্দ্রস্থল ছিল এই সোনাগাছি। পূর্বে কর্নওয়ালিস স্ট্রিট থেকে পশ্চিমে চিৎপুর রোড এর মধ্যিখানের বিশাল অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছিল এই গণিকালয়। সোনাগাছি গড়ে উঠেছিল সেই সময়ের ঔপনিবেশিক পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইংরেজদের ধামা ধরা তথাকথিত ভদ্র বাঙালিবাবুদের অনুদানে। যে ধরনের নাগরিক কলকাতার পত্তন হচ্ছিল আর শহর যেভাবে বেড়ে উঠছিল তার জন্য নিত্যনৈমিত্তিক চাহিদা মেটানোর জন্য হরেক রকম পেশারও জন্ম হচ্ছিল আজকের এই তিলোত্তমায়। ঠিক সেই ভাবেই সোনাগাছির বাসিন্দারাও আয়ত্ত্ব করছিলেন নিত্য নতুন বিনোদনের কায়দা। সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর কলকাতার একটি এলাকাতেই প্রায় তেতাল্লিশটি বেশ্যালয়ের মালিক ছিলেন।
উনিশ শতকের শেষার্ধে বাংলার গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক মন্বন্তরের ফলে বিপন্ন একের পর এক গ্রামের মহিলারা ভিড় জমান এই শহরে। তাঁদের পেশা যৌনকর্মী। ১৮৭২ সালের এক সরকারি বিবরণী থেকে জানা যায়, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের যৌনকর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন তাঁতি, মালি, যোগী, কুমোর, কামার, চামার, সোনার বেনে, তেলি ইত্যাদি সম্প্রদায়ভুক্ত। যেখানে এই শহরের প্রথম দিকে অন্তজ শ্রেণির মুখ খুব একটা এইসব গণিকালয়গুলিতে দেখা যেত না।
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার থেকে কলকাতা হয়ে ওঠে রাজনৈতিক ভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯১১ সালে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় দিল্লিতে। রাজনৈতিক তথা স্বাধীনতা আন্দোলন চরম সীমায় পৌঁছয়। এই শহরের বারবনিতারাও পিছনে থাকেননি। অসহযোগ আন্দোলনের সময় ১৯২১ সালে কলকাতার বারবনিতারা আন্দোলনের জন্য অর্থসংগ্রহের কাজে নেমেছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস এবং জ্যোতির্ময়ী গাঙ্গুলি সোনাগাছি অঞ্চলের বারবনিতাদের নিয়ে সভা করেন। মাত্র কদিনের মধ্যেই এই কমিটি ১ লাখ টাকার ও বেশি সংগ্রহ করতে পেরেছিল। মনাদা দেবীর লেখা বই থেকে জানা যায় সেই সময় ‘পতিতা সমিতি’ গঠিত হয়েছিল তাঁরা লালপাড় শাড়ি পরে কপালে সিঁদুরের ফোটা লাগিয়ে গান গেয়ে টাকা তুলেছিলেন বন্যার্তদের জন্য। মাসিক বসুমতিতে এই নিয়ে একটি রচনা লেখা হয়। সংগৃহিত অর্থ তাঁরা আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
১৯২৪ সালে এই বারবনিতারা তারকেশ্বরে সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করেন। নেতৃত্বে স্বয়ং চিত্তরঞ্জন দাস। বাংলার ভদ্র সমাজ এই নিয়ে আবার তীব্র প্রতিবাদে মুখর হয়। প্রবাসী পত্রিকা এই নিয়ে প্রতিবাদ করেন। ১৯২৫ সালে যখন চিত্তরঞ্জন দাস প্রয়াত হলেন, তাঁর মরদেহ নিয়ে যে বিরাট মিছিল হয়েছিল সেই মিছিলে পা মেলান বারবনিতারা।
১৯৯৫ সাল। কলকাতার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড পাবলিক হেল্থের একজন জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ডঃ স্মরজিৎ জানা ১২ জন যৌনকর্মীকে অংশীদার হিসাবে নিয়ে ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি’ (ডিএমএসসি) গঠন করেন। ২০১২ সালের মধ্যে ডিএমএসসি পশ্চিমবঙ্গের ৪৮ টি শাখার মধ্যে ৬৫ হাজার সদস্যের সদস্যপদ লাভ করে এবং যেগুলি যৌন কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। আজ সেই দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি এই শহরে সবথেকে বড় যৌনকর্মীদের সংগঠন যারা প্রায় ২৫ বছর ধরে যৌনকর্মীদের অধিকার আর স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন। বেশ্যা নয়, গণিকা নয়, পতিতা নয়, ‘যৌনকর্মী’। শব্দটি প্রথম বেছে নিয়েছিলেন ক্যারল লেই (Carol Leigh) – যৌনকর্মীদের সংগঠিত করার কাজে নিবেদিত এক সক্রিয় কর্মী।
হালে একটি বিল এসেছে মহিলা পাচার রোধ করার জন্য। সেই বিল নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক বিভ্রান্তি, অনেক আপত্তি। অনেকটা ১৮৬৮ সালে ইংরেজদের তৈরি চোদ্দ আইনের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে এই বিলের। দুর্বার এই বিলের সম্পূর্ণ ভাবে বিরোধী।
কাঁচা বয়স, কাঁচা টাকা! কম বয়সে হাতে অনেক টাকা এলেও, জমানো তো হয় না। তাই বুড়ো বয়সে দুর্দশাই সঙ্গী। এই আঁধার কাটিয়ে উঠতেই ২৬ বছর আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল ঊষা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের। একান্তই যৌনকর্মীদের জন্য। যৌনকর্মী পরিচালিত। ১৯৯৫ সালের ২১ জুন শুরু হওয়া এর কো-অপারেটিভের সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩। এখন সেই সমবায়ের সদস্য সংখ্যা ৩৬ হাজার ৭৩২। বছরে টার্নওভার ২৭.৫ কোটি টাকা!
সারা বছর ধরে এখানে টাকা জমান যৌনকর্মীরা। প্রয়োজনে সরল সূদের হারে ঋণও পান। জমানো টাকাতে সন্তানের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বহু যৌনকর্মী। বাড়ি বানিয়েছেন। বিয়ে দিয়েছেন সন্তানের। নিজের বুড়ো বয়সে বড় বলভরসা সমবায়ে জমানো ওই টাকাই। আবার চিটফান্ডের ছোবল থেকে বাঁচিয়েছে এই সমবায়ই। জিয়নকাঠি হয়ে তারা দেখা দিয়েছে কোভিড-কালে, লকডাউনের মধ্যেও।
একসময় তো ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ ছিল না যৌনকর্মীদের। সমবায় দফতরে গিয়ে শুনতে হয়েছিল, যৌনকর্মীদের আবার কীসের সমবায়! সমবায় আইনের ধারায় লেখা ‘গুড মরাল ক্যারেকটার’ বা নৈতিক চরিত্রের দোহাই দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আমলারা। পরে মন্ত্রী সরল দেব বিধানসভায় আইন সংশোধন করিয়ে ঊষা তৈরির পথ করে দেন। ২০১৭ সালে সমবায় দফতরই ‘মহিলা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি’ বিভাগে পুরস্কৃত করে ঊষাকে। যৌনকর্মীদের কাছে তা কিন্তু নিছক পুরস্কার নয়। তাঁদের কাছে এই পুরস্কার ছিল সরকারি তরফে বড়সড় স্বীকৃতি। এখন লড়াই চলছে সমবায় সমিতি থেকে সমবায় ব্যাঙ্কে উত্তরণের জন্য।
যৌনকর্মী মাত্রেই নিজের মেয়েকে পেশায় নামায় না। পল্লির অন্ধকার থেকে উদ্ধার করে আলোর পথও দেখায়। দু’দশক পরিশ্রম করে সেই উদাহরণ তৈরি করেছেন সোনাগাছি-হাড়কাটা গলি-কালীঘাটের যৌনকর্মীরা। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মহিলাকে পল্লি থেকে উদ্ধার করেছে যৌনকর্মীদের স্বশাসিত বোর্ড। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার নাবালিকা। বাকিরা সাবালিকা, কিন্তু পল্লির অন্ধকারে একেবারেই হারিয়ে যেতে চাননি তাঁরা।
যৌনকর্মীরা শ্রমিকের অধিকারের দাবি চান। একইসঙ্গে নাবালিকা এবং অনিচ্ছুক সাবালিকাদের পেশায় নামানোর বিরুদ্ধেও তাঁরা। সেই লড়াইয়ের গোড়াতেই তৈরি হয় স্বশাসিত বোর্ড। প্রতিটি যৌনপল্লিতেই সক্রিয় এই ধরনের বোর্ড। পল্লিতে নতুন মেয়ে এলেই খবর পৌঁছে যায় বোর্ডের কাছে। নাবালিকা বা অনিচ্ছুক সাবালিকা হলেই উদ্ধারে নেমে পড়েন বোর্ডের সদস্যরা। পুলিশে, মেয়ের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।
অনেক সময় এই মেয়েদের নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছে সেল্ফ রেগুলেটরি বোর্ডের সদস্যরা। তার জন্য বিপদেও পড়তে হয়েছে। দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠানোর আগেই সোনাগাছিতে খুনও হয়েছেন এক প্রবীণ যৌনকর্মী। এমন উদাহরণ-ও আছে। তবুও লড়াই জারি। লড়াই বোর্ডের স্বীকৃতি-প্রাপ্তি নিয়েও। দেশজুড়ে নারী ও শিশুপাচারের প্রেক্ষাপটে যৌনকর্মীদের এই লড়াইয়ের কথা সুপ্রিম কোর্টের প্যানেলের কাছেও পৌঁছেছে। সেই প্যানেলের সুপারিশ, এই স্বশাসিত বোর্ডকে মডেল করা হোক গোটা দেশের যৌনপল্লিতেই।
যৌনকর্মীর সন্তান। ওঁদের কাছে এই পরিচয় লজ্জার নয়। বুক ফুলিয়ে সবার সামনেই বলেন। প্রতি মুহূর্তে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই তাঁদের। স্বপ্ন এঁদের ভবিষ্যতে মাকে পল্লির আঁধার থেকে বাইরে বের করে আনার। এঁদো গলিতে থেকেও স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার এক চ্যালেঞ্জ। সবই যে সম্ভব, প্রমাণ করেছেন এই যৌনকর্মীদের সন্তানরা।
২০১৩ সালে পোল্যান্ডে হোমলেস ওয়ার্ল্ড কাপ খেলতে গিয়েছিল বিশ্বজিত্ নন্দী, সুরজিত্ ভট্টাচার্যরা। ট্রেনিং করতে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড সকার স্কুলে পৌঁছে যেতে পেরেছিল বছর ষোলোর রাজীব রায়। বিলেতের এজেন্ট চুক্তিতে সইও করায় তাঁকে।
এদিকে জেলায় জেলায় অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে কোমল গান্ধারের। যৌনকর্মীদের সন্তানদের সাংস্কৃতিক দল। তাঞ্জিলা, সঙ্গীতা, অভিজিত্, রাজকুমাররা পৌঁছে গিয়েছিলেন রিয়েলিটি শোয়ের ফাইনালেও। যৌনকর্মীর সন্তান রতন দলুই। মে দিবসে মায়েদের আন্দোলনের ভাষা ফোটে তাঁর আঁকা প্ল্যাকার্ডেই। দুর্গাপুজোর থিমমেকারও সেই রতন। এমন উদাহরণ বহু।
চলবে…
আরও পড়ুন- বিশ্লেষণ: লড়াই সবে শুরু তালিবানের! বন্দুকের নলে ক্ষমতা মিললেও পারবে কি ধরে রাখতে?