High Court on Sandip Ghosh: ২৫ হাজার পাতায় হাঁসফাঁস সন্দীপ, শেষ পর্যন্ত কাজে এল না কাতর আর্জি
High Court on Sandip Ghosh: একদিন আগেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি চাইতে দেখা গিয়েছিল আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এর আগে তিলোত্তমার খুন ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রেও একই দাবি করেছিলেন তিনি।

কলকাতা: অস্বস্তি কিছুতেই কাটছে না সন্দীপ ঘোষের। আবেদন-নিবেদনেও কাজ হল না কিছুই। সন্দীপ-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার চার্জ ফ্রেম করতে বাধা নেই। সিঙ্গল বেঞ্চে সন্দীপদের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ। বিচারপতির স্পষ্ট যুক্তি, হাইকোর্ট কোনওভাবেই জুডিশিয়াল অর্ডার পরিবর্তন করতে পারে না।
সিবিআইয়ের সাফ দাবি, সময় নষ্ট করতেই এই মামলা করা হয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার পর আবার কিসের পুনর্বিবেচনা? যদিও সন্দীপ থেকে সুমন হাজরার আইনজীবীদের দাবি, আইনত অন্তত ষাট দিন পাওয়া উচিত। হাইকোর্ট অভিযুক্তদের বক্তব্য না শুনেই নির্দেশ দিয়েছে। সে কারণেই তাঁরা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন। এ নিয়ে এদিন বেশ কিছুক্ষণ আদালতে সওয়াল-জবাব পর্ব চলে। সূত্রের খবর, তখনই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, জুডিশিয়াল অর্ডারে থাকলে হাইকোর্ট কী করতে পারবে! যদিও পাল্টা আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্যরা পাল্টা তাঁদের যুক্তি খাঁড়া করেন
বিচারপতির উদ্দেশ্যে তাঁরা বলে ওঠেন, আপনার নির্দেশে জুডিশিয়াল নির্দেশ এসেছে। সবার স্বচ্ছ ট্রায়ালের অধিকার আছে। সিবিআই নিজেই সব জমা দিতে পারবে না। যদিও সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থানেই অনড় রইলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। উল্টে সন্দীপদের পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে খানিক সমালোচনার সুরেই বলেন, আগামীকাল সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে চার্জ ফ্রেমের সময় দেওয়া হয়েছে। রায়ের মডিফিকেশন করতে হবে। কিন্তু, এর জন্য গোটা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি চাইতে দেখা গিয়েছিল আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এর আগে তিলোত্তমার খুন ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রেও একই দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও মঙ্গলবার আলিপুর বিশেষ আদালতের বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দেন বুধবারের মধ্যেই এই মামলায় চার্জ ফ্রেম করতে হবে। তবে যাঁরা অব্যাহতি চাইবেন তাঁদের আবেদনের রাস্তা খোলা থাকছে। তারপরই সন্দীপ-সহ পাঁচ জন্য অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। সন্দীপে আইনজীবীদের দাবি ছিল প্রায় প্রায় ২৫ হাজার পাতার নথি সিবিআই দিয়েছে। যার সব এখনও খতিয়েই দেখা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই পূর্বের নির্দেশ যাতে পুনর্বিবেচনা করা হয় সেই দাবি করেছিলেন তাঁরা।





