‘লক্ষীর ভাণ্ডারের’ জেরে বদলে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক খোলা থাকার সময়
করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক খোলা থাকার সময় বদলে দেওয়া হয়েছিল। ছুটির দিনেও আনা হয়েছিল পরিবর্তন।
দুর্গাপুর: সদ্য শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্প ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম দেওয়া। আর ফর্ম দেওয়া শুরু হতেই চোখে পড়েছে লম্বা লাইন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চোখে পড়েছে সেই দৃশ্য। যেহেতু ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ওই স্কিমের টাকা দেওয়া হচ্ছে, ব্যাঙ্কেও বাড়ছে ভিড়। আর করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক খোলা রাখার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বার একদিকে যখন একটু একটু করে অন্যান্য পরিষেবা চালু হচ্ছে, তখন ব্যাঙ্কের সময়ও স্বাভাবিক করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুর্গাপুরে প্রকল্পের শিলান্যাস করতে গিয়ে সেখান থেকেই এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় যখন সংক্রমণ বেড়েছিল, তখনই নবান্নের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছিল ব্যাঙ্ক খোলার সময় ১০ টা থেকে ৪ টের বদলে হয়ে যাবে ১০ টা থেকে ২ টো। এ ছাড়া প্রত্যেক শনিবার ব্যাঙ্ক ছুটি থাকবে বলেও জানানো হয়েছিল। সাধারণত, ব্যাঙ্ককর্মীদের ক্ষেত্রে মাসে দুটি শনিবার ছুটি থাকে ও দুটি শনিবার খোলা থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছিল সেই নিয়ম। এ বার ফের পুরনো নিয়মেই ব্যাঙ্ক ১০ টা থেকে ৪টে অবধি খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন মমতা।
এ দিন তিনি জানান, লক্ষী ভাণ্ডার স্কিমের জন্য অনেকেই ব্যাঙ্কে গিয়ে ফিরে আসছেন। পাশাপাশি, কম সময় খোলা থাকায় ভিড়ও বাড়ছে। তাই ব্যাঙ্কের সময় স্বাভাবিক করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের পুরো টাকাটাই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে এ দিন সতর্ক করে বলেন, যাতে তাঁরা অযথা ভিড় না করেন। ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’-এর মতো প্রকল্পের ফর্ম তুলতে মানুষের ভিড় বাড়ছে, তাই সেই সব মানুষকে বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একসঙ্গে সবার ভিড় করার কোনও প্রয়োজন নেই। কবে কোথায় ফর্ম দেওয়া হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’ বাইরে বেরলে ভিড় এড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করেন ও মাস্ক পরার কথাও বলেন তিনি।
এ দিকে, রাজ্যে বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আবার। সম্প্রতি নবান্নের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। লোকাল ট্রেন চালু করার কোনও উল্লেখ সেখানে নেই। এমনিতেই বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে। উৎসবের মরশুমে সে্ই তরঙ্গ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ফের বাড়ানো হয়েছে বিধি-নিষেধের মেয়াদ। আপাতত রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকছে। স্বাস্থ্য, আইন সহ জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর সব পরিষেবা ওই সময় বন্ধ রাখতে হবে। আরও পড়ুন: ৪০০ কোটির প্রকল্প, কয়েক’শ কর্মসংস্থানের সুযোগ, দুর্গাপুরে কারখানার শিলান্যাস করলেন মমতা