
কলকাতা: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনিই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এবার অভিযোগকারী আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (নন মেডিক্যাল) আখতার আলিই হয়ে গেলেন অভিযুক্ত। আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলার মাঝে আখতার আলির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিবিআই। সোমবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে জমা পড়েছে চার্জশিট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, টেন্ডার-সহ একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত আখতার। শশীকান্ত ছন্দক নামে আরও অভিযুক্তের নাম রয়েছে সিবিআই-র সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে।
আখতারের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
প্রসঙ্গত, টালা থানায় আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আখতার। তিলোত্তমা ধর্ষণকাণ্ডের পর আখতারের সেই অভিযোগকে ভিত্তি করেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গ্রেপ্তার হন সন্দীপ। অভিযোগকারী আখতারের বিরুদ্ধে পরে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। সিবিআই-এর দাবি, বিভিন্ন সংস্থাকে টেন্ডারের বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। শুধু তাই নয়, আখতারের বিদেশ ভ্রমণের খরচ এসেছে বিভিন্ন সংস্থা থেকে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আখতারকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য ভবন।
এদিন সিবিআইয়ের তরফে ৩৩ পাতার চার্জশিট জমা করা হয়। ১৪৭ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে এই চার্জশিটে। সিবিআই চার্জশিট জমা দিলেও সব নথি না থাকায় এদিন আদালত তা গ্রহণ করেনি। আগামী ৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানিতে সিবিআইকে সব নথি জমা দিতে হবে। এদিন সিবিআই যেসব ধারায় চার্জশিট জমা দিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, সরকারি আধিকারিক হিসেবে বিশ্বাস ভঙ্গ করা। নথি জাল করা। ভুয়ো নথিকে আসল বলে সরকারি কাজে ব্যবহার করা।