Mudiali School: জেলা নয়, খাস কলকাতার মুদিয়ালী স্কুলের কঙ্কালসার চেহারা
Garden Reach: জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটা ক্লাসরুমের উপরে সিমেন্টের চলটা খসে পড়ে গিয়েছে। সিলিংয়ের বেশ কিছু জায়গায় দেওয়া রয়েছে বাঁশের সাপোর্ট। অভিভাবকদের বক্তব্য প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্ররা এই স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে। হেডমাস্টারকে বহুবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।
কলকাতা: গার্ডেনরিচে ভবন ভেঙে পড়ার সকলের জানা। একটি বহুতল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল একাধিকের। এমন আবহের মধ্যেই এবার আতঙ্কিত গারডেন রিচ মুদিয়ালি স্কুলের পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ,স্কুলের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটা ক্লাসরুমের উপরে সিমেন্টের চলটা খসে পড়ে গিয়েছে। সিলিংয়ের বেশ কিছু জায়গায় দেওয়া রয়েছে বাঁশের সাপোর্ট। অভিভাবকদের বক্তব্য প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্ররা এই স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে। হেডমাস্টারকে বহুবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। নেই কোনও পরিষ্কার শৌচালয়ে। স্কুলে ঢোকবার মুখেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট। অস্বাস্থ্যকর বিপদজনক পরিবেশের মধ্যেই ছাত্রদের পড়াশোনা করতে হচ্ছে। ফলে এখানে পড়তে আসা কয়েক হাজার ছাত্র পড়েছে চরম অসুবিধায়। এর আগে বহুবার স্কুল সারাইয়ের দাবিতে এসএফআই-এর বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে দাবি।
মুদিয়ালি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক যদিও জানালেন, “২৭ তারিখে একটি মিটিং রয়েছে। এই স্কুলে ১৭০০ ছাত্র রয়েছে। সম্ভবত এই স্কুলটি অন্য আর একটি স্কুলে শিফট করে দেওয়া হবে।” টাকা অ্যালট হয়ে গেছে।স্কুল শিফট হয়ে গেলে রিপেয়ারিংয়ের কাজ শুরু হবে।” যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে ছাত্র-তার দায় কে নেবে? প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষক বলেন, “সেটা তো দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই ফাটলগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আর কয়েক জায়গায় বাঁশ দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে।”
সব থেকে উল্লেখযোগ্য, এই স্কুলেরই স্কুলের সভাপতি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “আমরা এইসব নিয়ে খুবই বিচলিত। দেড় হাজার ছাত্রকে স্থানান্তরিত করার কাজও শুরু হয়েছে। এই নিয়ে অনেকদিন ধরেই চিন্তিত। মিটিং ডেকেছি। মাননীয় মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও ফিরহাদ হাকিমও সেই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকবেন।”