Railway: বনগাঁ-ক্যানিং-ডায়মন্ড হারবার লাইনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, বড় সিদ্ধান্ত শিয়ালদহ ডিভিশনে

Railway: হিসেব বলছে, বর্তমানে শিয়ালদহের মেইন এবং দক্ষিণ শাখা মিলিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। শিয়ালদহ স্টেশন ছাড়া ওই ডিভিশনের বিধাননগর স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১ লক্ষ ৭০ হাজার যাত্রী ট্রেনে ওঠানামা করেন।

Railway: বনগাঁ-ক্যানিং-ডায়মন্ড হারবার লাইনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, বড় সিদ্ধান্ত শিয়ালদহ ডিভিশনে
Image Credit source: PTI

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 30, 2025 | 10:27 AM

কলকাতা: ভিড়ের চাপে নাজেহাল শিয়ালদহ ডিভিশন। প্রতিদিন শিয়ালদহের বিভিন্ন রুটে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। ঠাসাঠাসি ভিড়ে যাতায়াত করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। এই অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন শাখায় ট্রেন পরিষেবা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল পূর্ব রেলের ডিআরএমের বৈঠকে।

রেলকর্তারা বলছেন, গত কয়েকমাসে শিয়ালদহ ডিভিশনে ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। সেই ভিড়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক স্টেশন থেকে ট্রেন পরিষেবা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিল শিয়ালদহ ডিভিশন। বিশেষ করে, বিধাননগর, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বনগাঁ, ক্যানিং শাখায় ট্রেন পরিষেবা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার এবং বারাসত লাইনেও বৃদ্ধি করা হচ্ছে ট্রেনের সংখ্যা।

দিন দু’য়েক আগে শিয়ালদহের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা নিজের ডিভিশনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিপুল পরিমাণে ভিড়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। এমনকী কোন রুটে কত ট্রেন চলছে এবং সেগুলোর সময়সূচি সম্পর্কেও তিনি একটি রিপোর্ট নেন।

বৈঠকের পরই মোট ১০টি ট্রেন ইতিমধ্যে বাড়তি দেওয়া হল শিয়ালদহের বিভিন্ন শাখার জন্য। বর্তমানে শিয়ালদহ ডিভিশনের দু’টি শাখা থেকে প্রায় ৯২৫-এর বেশি লোকাল ট্রেন ছাড়ে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন রেলকর্তারা। বৈঠকে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পরই বিষয়টা স্পষ্ট হয়।

হিসেব বলছে, বর্তমানে শিয়ালদহের মেইন এবং দক্ষিণ শাখা মিলিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। শিয়ালদহ স্টেশন ছাড়া ওই ডিভিশনের বিধাননগর স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১ লক্ষ ৭০ হাজার যাত্রী ট্রেনে ওঠানামা করেন। বৈঠকে আরও উঠে এসেছে, যেভাবে ভিড়ের চাপ বাড়ছে, তাতে ট্রেন বৃদ্ধি না করলে সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এ ব্যাপারে রেলবোর্ড থেকেও ছাড়পত্র এসে গিয়েছে বলে শিয়ালদহ ডিআরএম অফিস সূত্রে খবর। সেই ছাড়পত্র পাওয়ার পরই জানা গিয়েছে, শিয়ালদহের বদলে বিধাননগর থেকে দু’টি ট্রেন কল্যাণী স্টেশনের জন্য ছাড়বে। আবার কল্যাণী থেকে ট্রেন ছেড়ে বিধাননগর স্টেশনে পৌঁছবে। শিয়ালদহে চাপ কমানোর জন্য এভাবেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে অন্তিম স্টেশন হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে বলে পূর্ব রেল সূত্রে খবর।

এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিকে হকার মুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। বিধান নগর স্টেশন থেকে শুরু করা হয়েছে সেই কাজ। অন্যান্য ডিভিশনের তুলনায় শিয়ালদহের মেইন এবং দক্ষিণ শাখায় ক্রমশ ভিড় বাড়ছে বলেই দাবি রিপোর্টে।