AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata: কলকাতার বুকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় মিলল বৃদ্ধার দেহ

Kolkata: পরিচারিকা মধুমিতা হালদার বলেন, "হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় দিদি সিঁড়ির তলায় পড়ে ছিল।" তিনি পুলিশকে জানান, বাড়ির পিছনের দরজা খোলা ছিল। ওই হাউজিং সোশ্যাইটির অন্য বাসিন্দারা বলেন, "ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বলে শুনছি। হাউজিং সোশ্যাইটিতে এমন খুনের ঘটনা শুনে আমাদের ভয় লাগছে।"

Kolkata: কলকাতার বুকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় মিলল বৃদ্ধার দেহ
এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় বৃদ্ধার দেহImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2025 | 3:32 PM
Share

কলকাতা: কাজের জন্য এসে ডেকে চলেছেন পরিচারিকা। কিন্তু, ভেতর থেকে বৃদ্ধ দম্পতির কোনও সাড়া-শব্দ নেই। অনেকক্ষণ ডেকেও সাড়া না পেয়ে ভয় পান পরিচারিকা। আচমকা দেখেন, সিঁড়ির তলায় হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর মালকিন। খবর পেয়েই পৌঁছে যায় পুলিশ। ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনাটি কলকাতার পঞ্চসায়রের। বৃদ্ধার স্বামীকেও বাড়ির মধ্যে খাটের তলা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম বিজয়া দাস(৭৯)। পঞ্চসায়রে নিউ গড়িয়া কো-অপারেটিভ হাউজিং সোশ্যাইটিতে থাকেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। তাঁদের সন্তান অন্য জায়গায় থাকেন। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই বাড়ির পরিচারিকা মধুমিতা হালদার কাজের জন্য আসেন। অনেকক্ষণ ধরে ডেকেও কোনও সাড়া পাননি।

আচমকা তিনি দেখেন, সিঁড়ির কাছে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিজয়া দাস। খবর পেয়ে পৌঁছয় পঞ্চসায়র থানার পুলিশ। ওই বৃদ্ধাকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, বিজয়ার স্বামী প্রশান্ত দাসকে ঘরের মধ্যে খাটের তলা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পরিচারিকা মধুমিতা হালদার বলেন, “হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় দিদি সিঁড়ির তলায় পড়ে ছিল।” তিনি পুলিশকে জানান, বাড়ির পিছনের দরজা খোলা ছিল। ওই হাউজিং সোশ্যাইটির অন্য বাসিন্দারা বলেন, “ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বলে শুনছি। হাউজিং সোশ্যাইটিতে এমন খুনের ঘটনা শুনে আমাদের ভয় লাগছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মৃত বৃদ্ধার পুত্র বন্ধন দাস তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে অন্য জায়গায় থাকেন। তাঁকে খবর দেওয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ এবং হোমিসাইড বিভাগের বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সিসি ক্যামেরার তারও কাটা ছিল। বৃদ্ধার হাতের আংটি পাওয়া যাচ্ছে না। একজন আয়া ছিলেন। তাঁর সন্ধান করছে পুলিশ। পরিচারিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।