Omicron Threat: হুমকির নাম ওমিক্রন! ১২টি দেশ থেকে ফিরলেই কলকাতা বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষা আবশ্যক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 28, 2021 | 10:06 PM

Covid19: আগত যাত্রীদের কোন‌ও হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার কথা কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়নি। তাই কাউকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হবে না।

Follow Us

কলকাতা: ওমিক্রন নিয়ে সতর্কতা বাড়াল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ব্রিটেন-সহ কেন্দ্র যে ১২ টি দেশের তালিকা দিয়েছে সে সব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের কলকাতা বিমানবন্দরে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইউনাইটেড কিংডম, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউ জিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, হংকং, সিঙ্গাপুর, ইজরায়েল।

আগত যাত্রীদের কোন‌ও হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার কথা কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়নি। তাই কাউকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হবে না। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকেই নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য কল্যাণীতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ। আন্তর্জাতিক উড়ানে আবারও জটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিমান চলাচল নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। হাসপাতালের পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

প্রথম ঢেউ সামলে করোনা-জয় নিয়ে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল দেশ। তার পরই ডেল্টার আর্বিভাব। দ্বিতীয় ঢেউয়ের মহাধাক্কা। প্রাণদায়ী অক্সিজেনটুকুও পর্যাপ্ত ছিল না দেশে! তৃতীয় ঢেউয়ের আগে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে না কেন্দ্র। হু ওমিক্রনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন ঘোষণা করতেই সতর্ক কেন্দ্র। ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিয়মিত হওয়ার কথা। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় নয়া দিল্লিতে।

সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওমিক্রনের উপস্থিতি খুঁজতে জিনোম সিকোয়েন্সের উপর আরও জোর দেওয়া হবে। ওমিক্রনের খবর সামনে আসতেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। রবিবার আবার প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্যকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি চালাতে হবে।

‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ থেকে আসা যাত্রীদের উপর নজরদারি বাড়াতে হবে। যাত্রী পজিটিভ হলেই নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করতে হবে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে তো হবেই। একই সঙ্গে কেন্দ্র চায় বরাদ্দের সম্পূর্ণ ব্যবহার করে, করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে এবং টিকাকরণে জোর দিয়ে সতর্ক হোক রাজ্যগুলি। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে কোভিড-বিধি বলবত্‍ করার উপর জোর দিতেও বলা হয়েছে।

হটস্পট চিহ্নিত করে, কড়া নজরদারি চালানোর কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে। পজিটিভ নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করার জন্যও পাঠাতে বলেছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ভাবে ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি দেশে। কিন্তু বাস্তব সত্যি কী? তা জানার জন্য জিনোম সিকোয়েন্সই একমাত্র পথ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “কোভিড প্রটোকল সকলকেই মেনে চলতে হবে। কারণ, যাঁরা ইতিমধ্যেই টিকা নিয়েছেন তাঁরাও যে একেবারে নিরাপদ এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। ভারতের উচিৎ অবিলম্বে আফ্রিকার যে দেশগুলিতে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া। অবিলম্বে কোভিডের নজরদারি বাড়াতে হবে। নমুনা পরীক্ষাও বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে, মাস্কও মাস্ট।

 

আরও পড়ুন: kolkata municipal election 2021: ভোট প্রস্তুতিতে সোমবার ব্যাক টু ব্যাক বৈঠক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

কলকাতা: ওমিক্রন নিয়ে সতর্কতা বাড়াল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ব্রিটেন-সহ কেন্দ্র যে ১২ টি দেশের তালিকা দিয়েছে সে সব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের কলকাতা বিমানবন্দরে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইউনাইটেড কিংডম, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউ জিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, হংকং, সিঙ্গাপুর, ইজরায়েল।

আগত যাত্রীদের কোন‌ও হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার কথা কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়নি। তাই কাউকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হবে না। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকেই নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য কল্যাণীতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ। আন্তর্জাতিক উড়ানে আবারও জটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিমান চলাচল নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। হাসপাতালের পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

প্রথম ঢেউ সামলে করোনা-জয় নিয়ে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল দেশ। তার পরই ডেল্টার আর্বিভাব। দ্বিতীয় ঢেউয়ের মহাধাক্কা। প্রাণদায়ী অক্সিজেনটুকুও পর্যাপ্ত ছিল না দেশে! তৃতীয় ঢেউয়ের আগে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে না কেন্দ্র। হু ওমিক্রনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন ঘোষণা করতেই সতর্ক কেন্দ্র। ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিয়মিত হওয়ার কথা। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় নয়া দিল্লিতে।

সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওমিক্রনের উপস্থিতি খুঁজতে জিনোম সিকোয়েন্সের উপর আরও জোর দেওয়া হবে। ওমিক্রনের খবর সামনে আসতেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। রবিবার আবার প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্যকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি চালাতে হবে।

‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ থেকে আসা যাত্রীদের উপর নজরদারি বাড়াতে হবে। যাত্রী পজিটিভ হলেই নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করতে হবে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে তো হবেই। একই সঙ্গে কেন্দ্র চায় বরাদ্দের সম্পূর্ণ ব্যবহার করে, করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে এবং টিকাকরণে জোর দিয়ে সতর্ক হোক রাজ্যগুলি। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে কোভিড-বিধি বলবত্‍ করার উপর জোর দিতেও বলা হয়েছে।

হটস্পট চিহ্নিত করে, কড়া নজরদারি চালানোর কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে। পজিটিভ নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করার জন্যও পাঠাতে বলেছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ভাবে ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি দেশে। কিন্তু বাস্তব সত্যি কী? তা জানার জন্য জিনোম সিকোয়েন্সই একমাত্র পথ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “কোভিড প্রটোকল সকলকেই মেনে চলতে হবে। কারণ, যাঁরা ইতিমধ্যেই টিকা নিয়েছেন তাঁরাও যে একেবারে নিরাপদ এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। ভারতের উচিৎ অবিলম্বে আফ্রিকার যে দেশগুলিতে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া। অবিলম্বে কোভিডের নজরদারি বাড়াতে হবে। নমুনা পরীক্ষাও বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে, মাস্কও মাস্ট।

 

আরও পড়ুন: kolkata municipal election 2021: ভোট প্রস্তুতিতে সোমবার ব্যাক টু ব্যাক বৈঠক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

Next Article