JU: যাদবপুর কাণ্ডের দায় রাজ্যপালকেই নিতে হবে, দাবি অধ্যাপক ওমপ্রকাশের
JU: ওমপ্রকাশের বক্তব্য, রাজ্যপালের কিছু ক্ষমতা আছে। বিধানসভা কোনও বিল পাশ করলে তা তাঁর কাছে সইয়ের জন্য যায়। তাতে রাজ্যপাল চাইলে সই করতেও পারেন, আবার নাও পারেন।
কলকাতা: এডুকেশনিস্ট ফোরামের সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের দায়িত্ববোধকেও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিলেন তিনি। শুক্রবার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “আমি সরাসরি যাদবপুরের সঙ্গে যুক্ত। আমরা অধ্যাপনা করি। সেখানে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা ঘটেছে। বিএ প্রথমবর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে কেন্দ্র করে আজকে আমরা শিক্ষা জগতের সকলেই গভীরভাবে দুঃখিত।” এদিন ওমপ্রকাশ প্রশ্ন তোলেন, আচার্যর পরামর্শদাতা কারা, তা সামনে আনা হোক।
ওমপ্রকাশ বলেন, “যাদবপুরে উপাচার্য নেই। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যও নেই। যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে আবার দায়িত্বটা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আচার্যের (রাজ্যপালই এই পদে) আওতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। উনি তো মনোনীত প্রতিনিধি দিচ্ছেন না। ডিন সিলেকশন হচ্ছে না। ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টসে কোনও ডিন নিয়োগ করা হচ্ছে না। যাদবপুরে অব্যবস্থা চলছে।”
ওমপ্রকাশের বক্তব্য, রাজ্যপালের কিছু ক্ষমতা আছে। বিধানসভা কোনও বিল পাশ করলে তা তাঁর কাছে সইয়ের জন্য যায়। তাতে রাজ্যপাল চাইলে সই করতেও পারেন, আবার নাও পারেন। এটা তাঁর ক্ষমতার ব্যাপার। তবে এই দু’টোর মাঝে একটা ‘পাওয়ার’ অনেক রাজ্যপালই ব্যবহার করে থাকেন। কিছু না করার পাওয়ার, দাবি ওমপ্রকাশের। তিনি বলেন, “এই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিলটাকেই হিমঘরে পাঠিয়ে দেন। এটা চলতে পারে না।”