Saltlake Cyber Fraud: সাবধান হোন! ওটিপি বা ডেবিট কার্ডের তথ্য ছাড়াই ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হচ্ছে লাখ লাখ টাকা
Cyber Fraud Case: তাজ্জব করার বিষয় হল, যে সময়ে বৃদ্ধের মোবাইলে কোনও নেটওয়ার্ক ছিল না, ওই সময়ে এই ট্রানজ়াকশনগুলি করা হয়েছে।
কলকাতা: প্রতারণার নতুন ছক। সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) সম্পর্কে এখন অনেকেই কম-বেশি ওয়াকিবহাল। পুলিশের তরফেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ওটিপি (Banking OTP) কিংবা ডেবিট কার্ড-ক্রেডিট কার্ডের (Debit Cards) গোপন তথ্য কাউকে দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন মানুষের মধ্যে অনেক সচেতনতা, সাবধানতা বেড়েছে। তাই কি লোক ঠকানোর কারবারিরা নিজেদের কায়দাও বদলাতে শুরু করেছে? সল্টলেকের এক ঘটনায় কিন্তু এমনই প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে। কারণ, ব্যাঙ্কের ওটিপি বা ডেবিট কার্ডের কোনও তথ্য না দিয়েও অ্যাকাউন্ট প্রায় ১০ লাখ টাকা খুইয়েছেন সল্টলেকের এক বৃদ্ধ। কীভাবে হল এই কাণ্ড?
সল্টলেকের সেক্টর ওয়ানের বাসিন্দা সুনীল কুমার মাইতি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হন বছর সাতষট্টির বৃদ্ধ। ২২ এপ্রিল বিকেলের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাঁর মোবাইলের সিমে কোনও নেটওয়ার্ক ছিল না। তিনি ভেবেছিলেন হয়ত নেটওয়ার্কের কোনও সমস্যা হচ্ছে। তাই অনেকবার মোবাইলটি সুইচ অফ-সুইচ অন করেছিলেন। কিন্তু একাধিকবার মোবাইল রিস্টার্ট করেও কোনও লাভ হয়নি। ফেরেনি মোবাইলের নেটওয়ার্ক।
এতদূর সব ঠিকই ছিল। মাথায় বাজ পড়ে দু’দিন পরে। ২৪ এপ্রিল তাঁর কাছে একের পর এক ইমেল ঢুকতে থাকে। ব্যাঙ্কের ইমেল। টাকা তোলার ইমেল। এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের উল্টোডাঙা শাখায় বৃদ্ধের একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই দফায় দফায় মোটা অঙ্কের টাকা তোলা হয়েছে। মোট দশটি ট্রানজ়াকশনের মাধ্যমে ৯ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৯ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ এই টাকা তোলার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। আরও তাজ্জব করার বিষয় হল, যে সময়ে বৃদ্ধের মোবাইলে কোনও নেটওয়ার্ক ছিল না, ওই সময়ে এই ট্রানজ়াকশনগুলি করা হয়েছে। ঘটনার পর ২৫ এপ্রিল বিধানগর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানান বৃদ্ধ।
বৃদ্ধের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে তদন্তের পর শেষে হর্শ কুমার যাদব নামে এক ব্যক্তিকে নৈহাটি থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে অভিযোগকারী ওই বৃদ্ধের নম্বরের সঙ্গে একই নম্বরের একটি সিম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া একটি চেকবুক, একটি ডেবিট কার্ড ও পাঁচটি সিমকার্ডও পাওয়া গিয়েছে ধৃতের থেকে। পুলিশের অনুমান এই ঘটনার পিছনে বড় কোন চক্রের হাত থাকতে পারে। সেই সব জাল গোটাতে তৎপর বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।