AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মোদীর রাম কার্ডের পাল্টা তৃণমূলের ‘জনতা কার্ড’

রবিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির দীপক কুমার রায়। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মসূচিতে সামিল হতেই এই যোগদান।

মোদীর রাম কার্ডের পাল্টা তৃণমূলের 'জনতা কার্ড'
ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2021 | 5:15 PM
Share

কলকাতা: রাম কার্ডের বদলে প্রধানমন্ত্রীকে ‘জনতা কার্ড’ দেখাল তৃণমূল। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, এ রাজ্যে জনতা কার্ড চলে, উন্নয়ন কার্ড চলে, মমতা কার্ড চলে। চার্টার্ড বিমানে এসে এসব বোঝা যায় না।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, টাকা লুঠ থেকে অপশাসন-একের পর এক ফাউল করে চলেছে এই সরকার। রাজ্যের মানুষ এবার এই সরকারকে রাম কার্ড দেখাবে।

আরও পড়ুন: ‘সীতারামনের ভাষণের সময় কীভাবে বলার সুযোগ পেলেন দীনেশ’, তদন্তের দাবি তৃণমূলের

এদিন নাম না করে মোদীকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি অনুষ্ঠানে এসে প্রধানমন্ত্রী বলছেন রাম কার্ডের কথা। আমি বলি, এখানে এসব চলে না। চলে জনতা কার্ড, মমতা কার্ড। জনতা কার্ডই আমাদের জেতাবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের নেত্রী হবেন। বিমানে উড়ে এসে যাঁরা এগুলো বলছেন, বাংলার মানুষ ভোটবাক্সে তাঁদের বুঝিয়ে দেবেন।”

দীনেশের ‘দম বন্ধ’ পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ পার্থর

চলতি সপ্তাহেই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে পদত্যাগের আগে দীনেশ ত্রিবেদী বলেছিলেন, তিনি কোনও কাজ করতে পারছেন না। দম আটকে আসছে। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দম বন্ধ হওয়া, দম ছেড়ে দেওয়া শুনেছিলাম। স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এতদিন দম বন্ধ হয়ে কেউ থাকল কী করে। কোনও সাঁতারুও তো পারে না। যারা এপার থেকে ওপারে যায়, তারাও এভাবে দম বন্ধ করে এপার ওপার করতে পারে না। আসলে দম ছিল। সেই দম নিয়েই দলকে ক্ষয় করার চেষ্টা করেছে। এখনও কেউ কেউ করছে। চিন্তা নেই, দম ফুরোলে আবার ফিরবে।”

বাবু মাস্টারের উপর হামলা ও রাজনৈতিক তরজা

শনিবার মিনাখাঁয় আক্রান্ত হন বিজেপি নেতা বাবু মাস্টার। তাঁর গাড়ির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। গাড়ির বাঁ দিকের জানলায় বসেছিলেন তিনি। সেদিকেই বোমা, গুলি এসে লাগে। রক্তাক্ত বাবু মাস্টারকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে। বিজেপি নেতার মুখের বাঁ দিকে চোট লাগে। কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত কি না, তা সোমবার অডিওমেট্রিতে দেখা হবে। বাবু ও তাঁর চালক, দু’জনেই আপাতত বিপদমুক্ত। অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনায় বিজেপি তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। তাদের দাবি, বহুদিন ধরেই বাবু মাস্টারকে টার্গেট করা হয়।

এদিন এ প্রসঙ্গে পার্থবাবুর দাবি, “আমি মস্তান ফস্তানদের ব্যাপারে খুব একটা বলি না। আমি সুস্থ রাজনীতি করা লোক। কে কোথায় কী কারণে জমি দখলে মার খেল কি না জানি না। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ দেখবে। কেউ যদি অকারণে মার খায় তাও দেখবে তারা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”