
কলকাতা: তিনি যে নির্দোষ এই দাবি পার্থ প্রথম করছেন না। বহুবার করেছেন। আদালত কক্ষেই করেছেন। একই ভাবে করলেন বৃহস্পতিবারও। এদিন একাদশ ও দ্বাদশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ-সহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করলেন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ। সিবিআইয়ের করা কোনও মামলায় এই প্রথমবার গঠন হল চার্জ। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।
এদিন আদালত কক্ষে চার্জ গঠনের শুনানি চলাকালীন মামলা থেকে অব্যাহতি চান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। ভার্চুয়ালিই আদালতে হাজিরা দেন তিনি। চোখে ছিল কালো চশমা। সূত্রের খবর, বুধবারই শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চোখে অপারেশন করিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ভার্চুয়ালি শুনানিতে যোগ দিয়েই পার্থ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
তাঁর কথায়, ‘আমি শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম। আমি নির্দোষ। যারা বলছেন, তারা সম্পূর্ণ অসৎ কথা বলছেন। আমি সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ।’ এরপরেই ইঙ্গিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায় ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যের দিকে দায় ঠেলে দিতে দেখা যায় তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। বর্তমানে তারা জেলে। এদিন বিচারকের মুখেও শোনা যায় তাদের কথা। শোনা যায়, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার কথাও।
পার্থর উদ্দেশে বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ বলেন, ‘আপনি এসপি সিনহা, কল্যাণময়দের পদে বসিয়েছিলেন।’ যার পাল্টা পার্থ বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমার একটা সম্মান রয়েছে। আমি ২৫ বছর ধরে বিধায়ক। আমাকে সাড়ে তিন বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে। এবার আমাকে মুক্তি দিন। এসএসসি একটি সম্পূর্ণ স্বশাসিত সংস্থা। ওরা নিজেরা নিয়োগ করেছে। আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই সুবীরেশ চেয়ারম্যান ছিল। এমনকি, আমি মন্ত্রী হওয়ার আগেই কল্যান মধ্যশিক্ষা পরিষদে ছিলেন। আমি নির্দোষ।’ সবশেষে পার্থ অব্যহতি চাইলেও, তিনি তা পাননি। আর্জি খারিজ করে চার্জ তাকে যুক্ত করেছে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত।