কলকাতা : কিছুদিন আগেই দলের তরফে নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যে লাগাম টানার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই আটকে রাখা যাচ্ছে না তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Kalyan Banerjee)। কিছুদিন চুপ থাকার পর ফের মুখ খুললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রমণের নিশানায়, আইপ্যাক। কোনওরকম রাখঢাক না করেই ভোট কুশলী সংস্থাকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। আইপ্যাক (IPAC) নাকি ভোটের প্রার্থী তালিকায় নাম ঢোকানোর দালাল। পুরভোটের আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে এইভাবেই কড়া আক্রমণ করলেন তিনি। কিন্তু এবার তাঁর পাশেই দাঁড়াচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের নবনিযুক্ত সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) রবিবার বিকেলে বলছেন, “কল্যাণ পুরানো সংগঠক । খুব ভাল কাজ করেছে । যার যেখানে দরকার, সে সেখানে কাজ করছে। বাকিটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। দলের যখন কারও সাজেশনের প্রয়োজন লাগবে, তা নেবে । তবে কাজটা দলই করবে।” সরাসরি কারও নাম না নিলেই পার্থ বাবুর বক্তব্যে যে আইপ্যাককে সাইডলাইন করার একটি ইঙ্গিত রয়েছে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে আইপ্যাকের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে বেশ জল্পনা ছড়িয়েছিল। সম্প্রতি এক ব্যক্তি এক পদ নীতিকে ঘিরে সেই দূরত্বের বিষয়টি যেন আরও বেআব্রু হয়েছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ফেসবুক ও টুইটারে দেখা যায় এক ব্যক্তি এক পদ নীতির সমর্থনে পোস্ট। কিন্তু নেত্রী বলেন, এই কাজ আইপ্যাক করেছে। পরক্ষণেই আইপ্যাকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, তৃণমূলে কংগ্রেসের বা তৃণমূলের কোনও নেতার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল নিয়ন্ত্রণ করে না আইপ্যাক। এই পরষ্পরবিরোধী মন্তব্যের থেকেই বোঝা গিয়েছিল – পরিস্থিতি কতটা জটিল।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের পুরভোটের যে দুটি প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তার প্রথমটি আইপ্যাকের থেকে প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছিল, এমন অভিযোগও ভেসে আসছিল। যদিও সরাসরি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি নেতারা, তবে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এর জন্য আইপ্যাকই দায়ী।
আরও পড়ুন : AMTA Student Death: আনিস মৃত্যুতে ফুঁসছে আমতা, পুলিশকে রুখতে একাট্টা হাজার-হাজার এলাকাবাসী