Partha Chatterjee: তিন নয়, চার সহ-সভাপতি মমতার! বক্সী, চন্দ্রিমা, যশোবন্তদের সঙ্গে এবার পার্থও
All India Trinamool Congress: দলের শীর্ষ নেতৃত্বের জায়গায় নবীন ও প্রবীণের এক মিশেল রাখতে চাইছেন দলনেত্রী। একদিকে যখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেকের মতো তরুণ প্রজন্মের মুখকে বসানো হয়েছে। অন্যদিকে সহ সভাপতি পদে যে চারজনকে রাখা হয়েছে, প্রত্যেকেই যথেষ্ট দুঁদে রাজনীতিক।
কলকাতা : তিন নয়, চার সহ-সভাপতি (TMC Vice Presidents) জোড়াফুলে! সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, যশোবন্ত সিনহাদের সঙ্গে এবার দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee)। শুক্রবার কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির (TMC Working Committee) বৈঠকের পরই বক্সী, চন্দ্রিমা ও যশোবন্ত সিনহাদের নাম সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, সেই তালিকায় এবার আরও একজন যুক্ত হয়েছেন। সর্বভারতীয় সহ সভাপতির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চার আর সেই তালিকায় নবতম সংযোজন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, দলের সহ সভাপতির পদে যে চারজনকে নিয়ে আসা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই মমতার অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং প্রত্যেকেই যথেষ্টই পোড় খাওয়া রাজনীতিক। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের জায়গায় নবীন ও প্রবীণের এক মিশেল রাখতে চাইছেন দলনেত্রী। একদিকে যখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেকের মতো তরুণ প্রজন্মের মুখকে বসানো হয়েছে। অন্যদিকে সহ সভাপতি পদে যে চারজনকে রাখা হয়েছে, প্রত্যেকেই যথেষ্ট দুঁদে রাজনীতিক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন তৃণমূলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। সেই দায়িত্ব পালনে তিনি যে কখনও ব্যর্থ হয়েছেন, এমনটা পার্থ বাবুর শরীরি ভাষা দেখে কখনও মনেই হয়নি। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিককে দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করার কোনও সুযোগ ছাড়তে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে তাই দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হিসেবে তিন জনের নাম ঘোষণা করা হলেও শনিবার বিকেলে তাতে পার্থ বাবুর নামও যুক্ত করা হয়। আর এই চার নেতাই মমতার একেবারে ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যেই রয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলে শোনা যায়। সে দিক এই ‘চার মূর্তি’ জাতীয় স্তরে তৃণমূলের রূপরেখা তৈরি করতে মমতার ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার কাজ আরও সুগম করে তুলবে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে নবীন – প্রবীণের এক ভারসাম্য রাখতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেদিক থেকে দেখতে গেলে একদিকে যেমন থাকছেন সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে থাকছেন অভিজ্ঞ সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং যশোবন্ত সিনহারা। তার উপর ব্যক্তিগত স্তরেও সুব্রত বক্সী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তৃণমূলের অন্দরে মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের কথা শোনা যায়। এবার সেই পার্থ ও বক্সীকে একসঙ্গে কাজের দায়িত্ব দিলেন মমতা।