First aid facilities in trains: লোকাল ট্রেনে মেয়াদ উত্তীর্ণ ফার্স্ট এইড বক্স! কোনওটা চার বছরের পুরনো, কোনওটা বছর দু’য়ের
Railway: রেলেরই আধিকারিকদের কেউ কেউ বলছেন, নিঃসন্দেহে এই ফার্স্ট এইড বক্সগুলি পরিবর্তন করা দরকার।
কলকাতা: মেয়াদ উত্তীর্ণ ফার্স্ট এইড বক্সেই চলছে লোকাল ট্রেন। প্রতি ৬ মাস অন্তর লোকাল ট্রেনের ফার্স্ট এইড বক্সের পরিবর্তন করার কথা। কিন্তু তেমনটা হয়নি। গত তিন চার বছর ধরে একই ফার্স্ট এইড বক্স লোকাল ট্রেনে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। টিভি নাইন বাংলাই সেই খবর প্রথম তুলে ধরে। এরপরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন লোকাল ট্রেনে থাকা মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ফার্স্ট এইড বক্স দ্রুত পরিবর্তন করতে চলেছে পূর্ব রেল। ইতিমধ্যেই হাওড়া, শিয়ালদহ শাখায় এই ফার্স্ট এইড বক্স পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে ফার্স্ট এইড বক্সগুলি লোকাল ট্রেনে রয়েছে, সেগুলি কোনওটি ২০১৮ সালের, কোনওটা ২০১৭ সালের, কোনওটা আবার ২০২০ সালের। এই ঘটনায় রেলের উদাসীনতার ছবি ধরা পড়ছে বলেই মনে করছেন সাধারণ রেলযাত্রীদের কেউ কেউ। যদিও রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, কোনও কোনও ট্রেনে হয়ত পুরনো ফার্স্ট এইড বক্স থেকে যেতে পারে। তবে বিষয়টি সামনে আসার পরই রেল উদ্যোগী হয়। হাওড়া ও শিয়ালদহ দু’টি শাখাকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তড়িঘড়ি পুরনো ফার্স্ট এইড বক্স বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফার্স্ট এইড বক্সগুলিকে বদলে দেওয়া হয়।
রেলেরই আধিকারিকদের কেউ কেউ বলছেন, নিঃসন্দেহে এই ফার্স্ট এইড বক্সগুলি পরিবর্তন করা দরকার। কারণ, লোকাল ট্রেনে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তা হলে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই ফার্স্ট এইড বক্সগুলিই কাজে লাগবে। যদিও এটাও ঠিক, লোকাল ট্রেনে এই ফার্স্ট এইড বক্সের প্রয়োজনীয়তা খুব একটা পড়ে না। কারণ, এই শাখার লোকাল ট্রেন এমন কোনও স্টেশনে দাঁড়ায় না যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো নেই। তবে হাতে গোনা কিছু স্টেশনের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাছাড়া আপদকালীন পরিস্থিতি কখন কীভাবে আসে সেটা এভাবে বলাও সম্ভব নয়।
কারণ, অতীতে এমন অনেক রেল দুর্ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। অতি সম্প্রতি ময়নাগুড়ির দোমহনিতেও সেই ছবি দেখা গিয়েছে। ফলে কোথায় কখন এই ফার্স্ট এইড বক্স দরকার পড়বে, সেখানে কী পরিষেবা প্রয়োজন হবে তা বলা মুশকিল। তবে সবসময় প্রস্তুত থাকতেই হবে।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “যদি এরকম থেকে থাকে তা হলে তো নিঃসন্দেহে গাফিলতি। তবে খোঁজ নিয়েছিলাম নিয়মিত পরিবর্তনও হয়। কিন্তু কয়েক জায়গার কথা যখন বলা হচ্ছে তা নিশ্চয়ই ঠিকই দেখেছে। আমরা আরও সতর্ক হচ্ছি। মেয়াদ উত্তীর্ণ যে ফার্স্ট এইড বক্স রয়েছে তা খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন করব।”