Mother Son Unnatural Death: বিছানায় পড়ে মা, মাটিতে স্বামী, অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরে স্ত্রী সাক্ষী থাকলেন ভয়ঙ্কর দৃশ্যের
South 24 Parganas: শুক্রবার সন্ধ্যায় ষ্টেশন থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আসার কথাও বলেন। স্ত্রীই বারণ করেছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ তিনি বাড়িতে এসে পৌঁছন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুরের মা-ছেলের রহস্যমৃত্যুতে পুলিশের হাতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মৃত গৌতম পুরকাইত শেয়ার মার্কেটে কাজ করতেন। তিনি নিজের বাড়িটাও ব্যবসার জন্য বিক্রি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বড় লোকসানের মুখোমুখি পড়েন। ফলে পরিবারে শুরু হয় আর্থিক অনটন। তাঁর স্ত্রী রাখী পুরকাইত মগরাহাটে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে। গৌতমও গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে। গত বুধবার তাঁরা সেখানে যান। বৃহস্পতিবার ফিরে আসেন গৌতম একা। শুক্রবার সকালে তাঁকে বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের সঙ্গে কথাও হয়। দুপুরে ফোনে স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ষ্টেশন থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আসার কথাও বলেন। স্ত্রীই বারণ করেছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ সন্তানদের নিয়ে তিনি বাড়িতে এসে পৌঁছন।
গৌতমের স্ত্রী-র বয়ান অনুযায়ী, ঘরটা অন্ধকার ছিল, গেটে তালা লাগানো ছিল। জানলা দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। কিছু বুঝতে না পেরে প্রতিবেশীদের ডাকেন। দরজার তালা ভেঙে তাঁরা ভেতরে ঢোকেন। তাঁরা দেখেন. ঘরের ডাইনিংয়ে পড়ে রয়েছেন গৌতমের নিথর দেহ আর একটি ঘরের বিছানায় পড়ে তপতী পুরকাইতের দেহ।
পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, প্রথমে মাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন গৌতম।
গৌতমের স্ত্রী বলেন, “আমি অনেক ডাকাডাকি করি। সাড়া পাইনি। বাইরে থেকে দেখছি ঘর ফাঁকা। আমি পাশের বাড়ির লোককে ডাকতে গিয়েছি। এর মধ্যে আমার বাচ্চাটা বলছে, বাবা মাটিতে শুয়ে, ডাকছি, সাড়া দেয়নি। দরজাটা ঠেলতেই খুলে যায়।”
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। এক প্রতিবেশী বলেন, “ওই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। আমরা মাঝেমধ্যে মিটিয়ে দিতাম। একান্ত পরিবারের ঝামেলা। তবে নিত্য অশান্তিতে যে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন গৌতম, তা মাঝেমধ্যে জানাতেন আমাদের। কিন্তু এমনটা করতে পারেন, মনে হয়নি।”
আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় বিজেপিতে ভাঙন, পুরনির্বাচনের আগে নয়া সমীকরণ