Partha Chatterjee: এবার থাইল্যান্ডেও পার্থর সম্পত্তির হদিশ, যার অর্ধেক মালিক অর্পিতা, ইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ

Arpita Mukherjee: ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিদেশের সম্পত্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এই বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। পরে স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, কালো টাকা সাদা করতেই নাকি সেল কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

Partha Chatterjee: এবার থাইল্যান্ডেও পার্থর সম্পত্তির হদিশ, যার অর্ধেক মালিক অর্পিতা, ইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ
ইডি-র চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির বিষয়ে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2022 | 8:21 AM

কলকাতা: কখনও ডায়মন্ডসিটির ফ্ল্যাট, কখনও শান্তিনিকেতনের বাংলো, কখনও বা পার্থ চটোপাধ্যায়ের  একাধিক বিলাসবহুল সম্পত্তি দেখেছে রাজ্যবাসী। এবার সামনে এল বিলাসবহুল আরও একটি জায়গা। তা আবার দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে। থাইল্যান্ডে। মাঝে-মধ্যে সেখানে ঘুরতে যেতেন পার্থ-অর্পিতা। চার্জশিটে এমনটাই উল্লেখ ইডির।

ইডি-র চার্জশিট থেকে কী-কী তথ্য সামনে এসেছে?

ইডি সূত্রে খবর, সময় পেলেই মাঝে-মধ্যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে যেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, সিঙ্গাপুরের একটি সরকারি অনুষ্ঠানেও অর্পিতাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এবার সামনে এল থাইল্যান্ড। সেখানে নাকি মাঝেমধ্যেই এসে ঘুরে যেতেন অপা। এর আগে তাদের দু’জনের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ হতে হয়েছিল গোয়েন্দা আধিকারিক থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের। এবার বিদেশেও তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে অবাক সকলে।

ইডি চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, পার্থর সেল কোম্পানি সিম্বায়োসিস ট্রেডার্স এর ডিরেক্টর স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরায় জানা যায় ২০১৪-২০১৫ সালে এক সংস্থার আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন পার্থ। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন অর্পিতা। ঘনিষ্ঠ এই বান্ধবীর সমস্ত খরচ নাকি বহন করেন প্রাক্তন মন্ত্রী।

তবে শুধু বিশ্ববিখ্যাত সৈকতে ঘুরে বেড়ানো নয়, সেখানে বাংলো কিনেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যার অর্ধেক মালিকানা অর্পিতার। ইডি সূত্রে খবর, অপার বাড়ি থেকে পাওয়া নথিতে বহুবার তাঁদের থাইল্যান্ড যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। চার্জশিটে তদন্তকারীদের দাবি, অপা ইউটিলিটি সার্ভিসের নামে রিয়েল এস্টেটে একাধিক বিনিয়োগ রয়েছে। একই ভাবে গোয়েন্দাদের অনুমান থাইল্যান্ডের সম্পত্তিও অপা উটিলিটি সার্ভিসের নামেই কেনা হয়েছে।

ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিদেশের সম্পত্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এই বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। পরে স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, কালো টাকা সাদা করতেই নাকি সেল কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।শুধু থাইল্যান্ড নয় দুজনে গিয়েছিলেন গোয়াও। আর অপার সফরসঙ্গী ছিলেন স্নেহময়। তাঁরও ব্যয়ভার বহন করেছিলেন পার্থ।

আর বিদেশে অপার সম্পত্তি কেনার বিষয়ে স্নেহময়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নেপাল, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং মালেশিয়া, অ্যামেরিকার মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই মুদ্রা অর্পিতার নয় বলেই তিনি জানিয়েছেন। একাধিক সময় একাধিক ব্যক্তি রেখে যেতেন বলেও দাবি করেন অর্পিতা।

জেরায় বারবার পার্থ জানিয়েছেন অর্পিতাকে তিনি চেনেন না। তবে গোটা চার্জশিট জুড়ে তাদের দু’জনের ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করার বিভিন্ন তথ্য পেশ করেছে ইডি। দুর্নীতির টাকাতেই যে পার্থ-অর্পিতা বিদেশে এই সম্পত্তি কিনেছেন তা তদন্তে স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা।