Partha Chatterjee: কেমন আছেন পার্থ? বিশেষ সিবিআই আদালতে বড় তথ্য বেসরকারি হাসপাতালের

Partha Chatterjee: প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ বোধ করায় গত ২০ জানুয়ারি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। কয়েকদিন পর আদালতে পার্থ দাবি করেন, সরকারি এই হাসপাতালে চিকিৎসা করে তিনি সুস্থ হতে পারছেন না। সেই কারণে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়।

Partha Chatterjee: কেমন আছেন পার্থ? বিশেষ সিবিআই আদালতে বড় তথ্য বেসরকারি হাসপাতালের
পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ফাইল ফোটো) Image Credit source: Getty Images

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Feb 14, 2025 | 2:51 PM

কলকাতা: বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এখন কেমন আছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়? আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে সেই তথ্য জানালেন ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। দিন দুয়েকের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক আদালতে জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ বোধ করায় গত ২০ জানুয়ারি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। কয়েকদিন পর আদালতে পার্থ দাবি করেন, সরকারি এই হাসপাতালে চিকিৎসা করে তিনি সুস্থ হতে পারছেন না। সেই কারণে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আদালত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সব মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেয়।

গত ২৮ জানুয়ারি মুকুন্দপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট চান।

সেইমতো এদিন ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। রিপোর্ট জমা দিয়ে চিকিৎসক জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। দিন দুয়েকের মধ্যে ছাড়া হবে। ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে কি সরাসরি প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

এর আগে পার্থবাবু বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কটাক্ষ করেছিল বিরোধীরা। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, “ওরা জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করেছেন, বড় বড় গেট বানিয়েছেন তবে সেখানে চিকিৎসা হয় না। তারপর স্বাস্থ্যের বেহাল দশা। জাল স্যালাইন, ওষুধ বিষাক্ত। সেই কারণে এরা প্রাণ বাঁচাতে বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন।”