AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধরে টানাহ্যাঁচড়া পুলিশের

BJP: রাজ্য জুড়ে বিজেপি একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে গত আটদিন ধরে। ১৬ অগস্ট তার শেষদিন।

বিজেপির 'পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও' কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধরে টানাহ্যাঁচড়া পুলিশের
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2021 | 6:58 PM
Share

কলকাতা: বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতায়। সোমবার বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরুর আগেই অতি তৎপর হয়ে পড়ে পুলিশ। রানি রাসমণি রোডে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। প্রথমে সৌমিত্র খাঁ, শীলভদ্র দত্তদের রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ, পরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশ থেকে টানা হ্যাঁচড়া করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের। অতিমারি আইনে এই আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, বিজেপির মহিলা কর্মীদের চুলের মুঠি ধরে টেনে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানেও।

রাজ্য জুড়ে বিজেপি একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে গত আটদিন ধরে। ১৬ অগস্ট তার শেষদিন। এদিন কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, ধরণার আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েও তৈরি হয় ধরণা মঞ্চ। সেখানে থাকার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের। পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়ারও কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এদিন সেই কর্মসূচির শুরুতেই ঝামেলা জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা।

মূলত এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি কিংবা একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের কী ছবি তা বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। নারী নিগ্রহের ঘটনা থেকে টিকা নিয়ে কারচুপি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের। তা নিয়েই এদিনের ধরণা।

ধরণা কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই যখন বিজেপি কর্মী নেতারা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে আসছিলেন, অভিযোগ তখনই তাঁদের আটক করে কলকাতা পুলিশ। তখনও দিলীপ ঘোষরা এসে পৌঁছননি। যেহেতু রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে গেলেই বিজেপি কর্মীদের আটক করা হচ্ছে, তাই দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে পৌঁছে ধরণায় বসতেই পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। শুরু হয় গোলমাল। দিলীপ, শুভেন্দুদের গান্ধি মূর্তির সামনে থেকে টেনে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, যারা ত্রিপুরায় গিয়ে বলে গণতন্ত্র নেই। তারা কী করে এখানে এই ধরনের কাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এটা তো কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। অতিমারি আইনে এ ভাবে কোথাও তো ভিড় করা যায় না বলেই প্রশাসন জানিয়েছে। সেই আইন বলেই প্রশাসন যা করার করবে।” বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, তৃণমূলের খেলা হবে দিবস পালিত হতে পারে। বিজেপি কর্মসূচি নিলেই বাধা দেওয়া হয়! এর জবাবে সৌগত রায় বলেন, “খেলা হবে দিবস তো মাঠে হচ্ছে। একটা জায়গায় ভিড় করে কেউ কিছু করছে না। এসব অভিযোগের কোনও অর্থ নেই।”

দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “আমরা রোজ খেলি। কাল ক্রিকেট খেলেছি, আজ ফুটবল খেলেছি। এ তো বাঙালির বাড়িতেও হয়। কিন্তু আজ তৃণমূলের হঠাৎ খেলা দিবস কেন মনে পড়ল জানি না। পশ্চিমবঙ্গের খেলাধূলাকে তো এরা অন্তর্জলি যাত্রায় পাঠিয়ে দিয়েছে। এই অলিম্পিক দেখার পর ওদের মনে হয়েছে বাংলার জন্য কিছু করা উচিৎ। যে সমস্ত ক্লাবে তাস ছাড়া আর কিছু খেলা হয় না সেখানে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। হাজার হাজার লোক নিয়ে ফুটবল ম্যাচ হতে পারে। আর ৫০ জন লোক নিয়ে ধরণা হতে পারে না, এটা গণতন্ত্র নয়। সারা বাংলায় ফুটবল ম্যাচ হবে। আমরা তো কলকাতায় একটা জায়গায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বসতে চেয়েছিলাম। সেটাও অনুমতি দেওয়া হয়নি। গণতন্ত্র, রাজনৈতিক অধিকার সর্বত্র থাকবে বাংলা বাদে। আমরা অবস্থান করছি। দরকার হলে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাতে যাব।” আরও পড়ুন: ‘আড়িপাতা বিতর্কের পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য আছে?’, খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়তে চায় কেন্দ্র