কলকাতা: মোট ৩২ টি আসন ছিল উপনির্বাচনের (Bypoll) অপেক্ষায়। কিন্তু শিকে ছিঁড়েছে একমাত্র ভবানীপুরের (Bhawanipur)। যা নিয়ে রাজনীতির জল কম ঘোলা হয়নি। ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করতে অবশ্য রাজ্যকেও কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি। খোদ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিশেষ অনুরোধের পরই নাকি কমিশন ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছিল। কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, রাজ্য সরকারের বিশেষ অনুরোধেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে এ বার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
সূত্রের খবর, জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী। সেই মামলায় তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে সওয়াল দেগেছেন। জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে শুধুমাত্র ভবানীপুর বিধানসভা আসনে চটজলদি উপনির্বাচন চাওয়ার জন্য ব্যবহার করেছেন। মুখ্যসচিব মাত্র একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন চেয়েছেন কমিশনকে লেখা চিঠিতে। কিন্তু কেন তিনি মাত্র একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন চাইলেন? তিনি কি এভাবে কেবল একটি কেন্দ্রের ভোট চাইতে পারেন? এই প্রশ্নগুলিই তোলা হয়েছে মামলাকারীদের পক্ষ থেকে?
জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, মুখ্যসচিবের লেখা এই চিঠি যেন বাতিল করা হয়। আদালতের কাছে এই আবেদনই জানিয়েছেন তিনি। সূত্র জানাচ্ছে, আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই মামলার শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, মুখ্যসচিবের লেখা এই চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধিতায় সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপির তামাম নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সকলেই প্রশ্ন তুলেছেন যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের আদৌ এই এক্তিয়ার রয়ে কি না! সমগ্র বিষয়টি নিয়ে এবার মামলার জল গড়াচ্ছে আদালতেও। এই নিয়ে হাইকোর্ট কী রায় দেয় সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: স্কুল কত, শিক্ষক কত, পড়ুয়া কত, কিছুই জানে না রাজ্য! ‘সরকার চলছে?’ বিস্মিত আদালত
আরও পড়ুন: ‘একবার হারিয়েছি, আবার হারাব’, মমতা মাঠে নামতেই সতর্কতার ‘কার্ড’ দেখালেন দিলীপ