কলকাতা : সব পুরসভায় (Municipality) একসঙ্গে ভোট (Election) হচ্ছে না কেন, এই নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি (BJP)। এর পিছনে শাসক দলের কোনও অভিসন্ধি আছে বলেই মনে করছে তারা। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এবার শুরু হয়ে গেল মামলার প্রস্তুতি। আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আইনজীবীদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
পুরভোট নিয়ে রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাব মেনে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সব ঠিক থাকলে আজই পুর ও নগরোন্নায়ন দফতরকে কমিশনের তরফে পাঠানো হবে চিঠি। আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট করাতে চেয়েছে রাজ্য। আর সেই প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে, বিজেপি চায়, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সমস্ত পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে হোক। ২০১১ সালে তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে যে ভাবে নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন করেছিলেন, ঠিক সেই ভাবেই নির্বাচন যাতে হয়, সেই আর্জিই জানাবে বিজেপি।
আসন্ন পুরভোটে অশান্তির আশঙ্কাও রয়েছে বিজেপির। ভোট নিরপেক্ষতার সঙ্গে নাও হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাই যথেষ্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীও যাতে উপস্থিত থাকে সেই বিষয়টাও দেখার কথা আদালতে জানাবে বিজেপি। পাশাপাশি বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, জানুয়ারি মাসে নতুন ভোটারের তালিকা প্রকাশ হয়। ঘোষণা হয়, ফলে পরে ভোট হলে অনেক নতুন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘আদালতে যাওয়ার অধিকার সবার আছে। এর জন্য হুমকি দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এত দিন যারা দ্রুত পুরভোট করার দাবি জানাচ্ছিলেন তারা বিধানসভা ভোটের পর বুঝতে পেরেছে হেরে যাবে, তাই ভয় পেয়েছে। ভোট যতটা পিছিয়ে দেওয়া যায় তার ফন্দি করছে।’ তৃণমূল নেতার দাবি, বিজেপি মানুষের রায়ে বিশ্বাস করে না, মানুষের রায়ে আস্থা নেই। আস্থা থাকলে যখনই ভোট হোক না কেন বিজেপি প্রস্তুত থাকত। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি কি দাবি করল না করল, তার ওপর কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না। তারা সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।’
গতকালই বিজেপিও দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। বিজেপি কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে, বাকিগুলি বাদ দিয়ে মাত্র দু’টোতে ভোট কেন হবে? একই সঙ্গে বিজেপি জানিয়েছে, আইনের পথে হাঁটবে তারা। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেখানে সই রয়েছে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংয়ের।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: ‘ওরা যখন মর্জি তখন আসে, ওদের জন্য দুঃখ হয় না’, বিরোধী শূন্য বিধানসভায় ক্ষোভ মমতার