Mamata Banerjee: ‘ওরা যখন মর্জি তখন আসে, ওদের জন্য দুঃখ হয় না’, বিরোধী শূন্য বিধানসভায় ক্ষোভ মমতার
Oath Taking in Assembly: উপ নির্বাচনে জয়ী চার বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ দিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। শপথের পর সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি।
কলকাতা : ওদের জন্য মর্মবেদনা হয়, দুঃখ হয় না, এটাই ওদের রীতি। আজ বিধানসভায় চার বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর অনুপস্থিত বিজেপি বিধায়কদের কটাক্ষ করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন না বিজেপির কোনও বিধায়ক। সেই অনুপস্থিতিতেই এ দিন ক্ষুব্ধ হন মমতা। তিনি বলেন, ‘ওরা যখন মর্জি আসে, যখন মর্জি আসে না’। বিধানসভাটাকে বিধানসভা বলে মনে করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুপস্থিত বিধায়কদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘যাদের থাকার কথা, তারা আজ নেই। গণতন্ত্রের রীতি, হেরে গেলেও জয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো। কিন্তু ওরা ও সব মানে না। ওরা অ্যাসেম্বলিটাকে অ্যাসেম্বলি বলে মনেই করে না। ওদের জন্য মর্মবেদনা হয়, তবে দুঃখ হয় না, ওদের এটাই রীতি। ‘
এ দিন চার বিধায়ককে অভিনন্দন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘আমাদের সরকারই একমাত্র যারা কথা দিয়ে কথা রাখে। কেউ কেউ আচ্ছে দিন বলেন, বুরে দিন চলে আসে।’
এই প্রসঙ্গে এ দিন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘বিরোধীরা তো ওনার মতো বিধানসভায় ভাঙচুর করেননি। তিনি যে ভাবে সবার সামনে ভাঙচুর করেছিলেন, তা তো করেনি।’ বিজেপি নেতার দাবি, বিধানসভায় বিরোধীদের কথা বলতে দেন না, বিরোধীদের আক্রমণ করা হয়। আর আজ আসেনি বলে অনুতাপ হচ্ছে? তাঁর অভিযোগ, বিরোধীদের কোনও মর্যাদা দেওয়া হয় না।
বিরোধী থাকাকালীন তৃণমূল বিধায়কদের বিধানসভায় ভাঙচুরের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘সে দিন উনি বিধানসভার সদস্য ছিলেন না। ওনার দলের লোকেরা ভাঙচুর করেছিল। তখন তো অনুতাপ করেননি। বিজেপি নেতার আরও দাবি, বিরোধী দলনেতাকে ডেকে আলোচনা করা দরকার, বিরোধীদের মর্যাদা দিয়ে বিধানসভা চালানো যায়।’
আরও পড়ুন : করোনা কেড়ে নিল আরও এক চিকিৎসকের প্রাণ! দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ
এ দিন শপথ নেন চার বিধায়ক দিনহাটার উদয়ন গুহ, গোসাবার সুব্রত মণ্ডল, শান্তিপুরের ব্রজকিশোর গোস্বামী এবং খড়দহ থেকে নির্বাচিত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এ দিন শপথের পর মমতা জানান, আগামী ১৭ নভেম্ব থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে দুয়ারে রেশন। আগেই এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ফের একবার উল্লেখ করলেন, দুয়ারে রেশন অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিন–চার চাকার গাড়ি কিনতে ডিলারদের ঋণ দেওয়া হবে। সেই গাড়িই পৌঁছে যাবে পাড়ায় পাড়ায়। এমনকী গাড়ির দামের ২০ শতাংশ বা সর্বাধিক ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি মিলবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন : মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক খুনের হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে! বড় ‘ব্রেক থ্রু’ পুলিশের