
কলকাতা: সল্টলেকের দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে অভিযুক্ত তিনি। বারাসত আদালত ও বিধাননগর আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। এবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের আগাম জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল পুলিশ। রাজগঞ্জের বিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জাল নথি দিয়ে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
গত ২৯ অক্টোবর নিউটাউনের যাত্রাগাছির খালধার থেকে স্বপন কামিল্যা নামে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। স্বপনের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর থানার দিলমাটিয়া গ্রামে। স্বপন কামিল্যাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিবার বিডিও প্রশান্ত বর্মণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে রাজু ঢালি ও তুফান থাপা নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তভার পায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্ত এগোনোর পর সজল সরকার নামে কোচবিহারের এক তৃণমূল নেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) ও তাঁর গাড়ির চালক বিবেকানন্দ সরকার, গোবিন্দ সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে রাজগঞ্জের বিডিও-র বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃতের পরিজনরা।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করেন রাজগঞ্জের বিডিও। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন। তবে তদন্ত এগোনোর পর বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এরপর বিধাননগর আদালত থেকেও আগাম জামিন পান। এবার সেই আগাম জামিনকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল পুলিশ। রাজগঞ্জের বিডিও-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। তিনি জাল নথি দিয়ে জামিন পেয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় বিডিও প্রশান্ত বর্মণ বিপাকে পড়লেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা বেড়েছে।