AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saltlake: ছিল নিঁখুত পরিকল্পনা, স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি কী করা হয়?

Jewellery shop owner murder case: পাশাপাশি খুনের ঘটনার পর ব্যবহৃত অপর ফরচুনার গাড়িটি নিয়ে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের দিকে রওনা দিয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। সেই গাড়ির খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দু'জনের হদিস পেতে চাইছেন গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বলিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। 

Saltlake: ছিল নিঁখুত পরিকল্পনা, স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি কী করা হয়?
কী জানা যাচ্ছে?Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2025 | 6:48 PM
Share

সল্টলেক: নিঁখুত পরিকল্পনা করেই কি খুন করা হয়েছিল সল্টলেকের দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে? তদন্ত যত এগোচ্ছে, এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। এরই মধ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল TV9 বাংলার হাতে। গত ২৮ অক্টোবর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং খুনে ব্যবহৃত গাড়ির খোঁজ পাওয়া গেল। এদিকে, এই খুনের ঘটনায় পুলিশ আরও দুই অভিযুক্তকে খুঁজছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর যাত্রাগাছি থেকে স্বপন কামিল্যার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের। যদিও তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ঘটনায় প্রথমে রাজু ঢালি ও তুফান থাপা নামে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের সঙ্গে যোগ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজগঞ্জের বিডিও। পরে সজল সরকার নামে কোচবিহারের এক তৃণমূল নেতাও এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ।

এই পরিস্থিতিতে ওই খুনের ঘটনার একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য টিভি৯ বাংলার হাতে এল। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনে ব্যবহৃত কালো স্করপিও গাড়িটির সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেল। খুনে ব্যবহারের পর গাড়িটি তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য সার্ভিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই কালো স্করপিও গাড়িটির মালিকের ঠিকানা হরিদেবপুরের ঠাকুরপুকুর এলাকায়। তাঁকেও নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তবে ওই ঠিকানায় তাঁর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

পাশাপাশি খুনের ঘটনার পর ব্যবহৃত অপর ফরচুনার গাড়িটি নিয়ে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের দিকে রওনা দিয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। সেই গাড়ির খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দু’জনের হদিস পেতে চাইছেন গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বলিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

খুনের ঘটনার পর ১৬ জনের বয়ান রেকর্ড করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, জেরায় রাজু ও তুফান দাবি করেছেন, বিডিও প্রশান্ত বর্মণ ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে নিউটাউনের বাড়িতে এনে মারধর করেন। রাজুর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নানা তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও জানা গিয়েছে, সাদা ফরচুনার গাড়িটি পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মধ্যমগ্রামের এক বাসিন্দার নামে নেওয়া। যদিও ওই ব্যক্তির দাবি, গাড়িটি তাঁর নয়। তাঁর নামে কেনা হয়েছিল। নিউটাউনে বাড়ি তৈরির সময় তাঁর আধার ও প্যান কার্ডের প্রতিলিপি নেওয়া হয়েছিল। সেই তথ্য দেখিয়েই গাড়িটি কেনা হয়েছিল। পরে আরসি বুক তাঁর বাড়িতে গেলে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। ওই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, বিষয়টি তিনি রাজগঞ্জের বিডিওকে জানিয়েছিলেন।