কলকাতা: রাতে রাস্তায় নেমে তিলোত্তমার জন্য বিচার চাইছিলেন বাংলার মানুষ। শহর, গ্রাম নির্বিশেষে জমায়েত হয় রাজ্যের প্রায় সব জেলায়। কলকাতা শহরের একাধিক রাজপথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে আচমকা আরজি কর মেডিক্যালে শুরু হয় ‘মব অ্যাটাক’। দলে দলে ঢুকে পড়েন দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে নিশানা করে হামলা চালানোর পাশাপাশি প্রায় গোটা হাসপাতাল ভেঙেচুরে দেওয়া হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি হাসপাতালে চলে তাণ্ডব। প্রাণ বাঁচাতে শৌচালয়ে লুকিয়ে পড়েন চিকিৎসকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেখা গেল, শুধু ভাঙচুর নয় অগ্নিসংযোগের চেষ্টাও এদিন হয়েছে আরজি করে।
এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, পড়ে আছে পোড়া প্লাস্টিক সমেত বেশ কিছু জিনিস। পুলিশের পোশাকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সব পোড়া পোশাক পড়ে আছে হাসপাতালে। একাধিক পোড়া ইউনিফর্ম পাওয়া গিয়েছে হাসপাতালে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের ভিতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল? গোটা এমার্জেন্সিটাই পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল? এমার্জেন্সি বিভাগে আগুন লাগলে রোগীদের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারত বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
পুলিশের গা থেকে পোশাক টেনে খোলা হয়েছে, নাকি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক পুলিশকর্মীর মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বেরতে দেখা গিয়েছে, কারও মাথায় চোট লেগেছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, বাংলা জুড়ে হওয়া প্রতিবাদ থেকে গোটা দৃষ্টিটা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই কি এই পরিকল্পনা? চিকিৎসক তো দূরের কথা, অসুস্থ মানুষ, যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠল প্রশ্ন।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)