AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Santoshpur: ‘গায়ের রঙ শ্যামলা, উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি’, উপায় না দেখে এবার সেই নাবালকের নামে পোস্টার পুলিশের

Santoshpur: ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল ওই নাবালককে। তারপর সে কোথায় গেল, কোনও খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। ধৃতদের বয়ানেও অসঙ্গতি।

Santoshpur: 'গায়ের রঙ শ্যামলা, উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি', উপায় না দেখে এবার সেই নাবালকের নামে পোস্টার পুলিশের
সন্ধান চেয়ে পোস্টারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2025 | 10:52 AM
Share

কলকাতা: উল্টো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল এক নাবালককে। নৃশংসতার সেই ছবি গত কয়েকদিন ধরে নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যবাসীকে। সন্তোষপুরের একটি কারখানায় ওই ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের একটানা জেরাও করছে পুলিশ। কিন্তু কোথায় সেই নাবালক? অত্যাচারের স্বীকার হওয়ার পর কোথায় গেল সে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা পুলিশের কাছে।

গত কয়েকদিন ধরে সম্ভাব্য সব জায়গায় সন্ধান চালিয়েছে পুলিশ। মাটি খুঁড়ে দেখতেও বাকি রাখা হয়নি। নাবালকের মৃত্যুর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ধৃতরা বলছে অন্য কথা। তাদের দাবি, নাবালককে অত্যাচারের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে কোথায় গেল সে? কারখানার আশপাশে থাকা নদী-পুকুর-খালে একাধিকবার তল্লাশি চালানো হয়েছে।

কোথাও সন্ধান না পেয়ে এবার পোস্টার প্রকাশ করল পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় ওই পোস্টার ফরোয়ার্ড করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। নাবালকের ছবি, নাম, ঠিকানা, গায়ের রঙ, বয়স- সবই উল্লেখ করা হয়েছে ওই পোস্টারে। পুলিশ উল্লেখ করেছে, গত ৩০ মে, সকাল ১১টা থেকে নিখোঁজ ওই নাবালক। নিখোঁজ হওয়ার সময় পরণে ছিল ফুল প্যান্ট ও গেঞ্জি। কেউ তার সন্ধান পেলে কোন নম্বরে যোগাযোগ করবে, সেটা পোস্টারে লিখে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, মারধরের পর নাবালককে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পাঁচজনের বয়ানে কোনও মিল নেই। নানা অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।

অভিযোগ, স্কুলের গরমের ছুটিতে শাহেনশার ওই কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল নাবালক। সেখানেই মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে তাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নাবালকের আত্মীয়দের দাবি, শাহেনশা তাদের কাছে একটি মোবাইল ফোন ও ২ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। বর্তমানে পুলিশের জালে রয়েছে শাহেনশা।