Tangra Mysterious Death: ট্যাংরার যুবকের দেহ কোথায়? খালের উপর ড্রোন উড়িয়ে খুঁজছে পুলিশ

Tangra Death: ট্যাংরা খুনের ঘটনায় দেহ এখনও উদ্ধার না হলেও বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান সেগুলি দেহের সঙ্গে ছিল। সেগুলি শনাক্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Tangra Mysterious Death: ট্যাংরার যুবকের দেহ কোথায়? খালের উপর ড্রোন উড়িয়ে খুঁজছে পুলিশ
খালের উপর ড্রোন ওড়াচ্ছে পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2023 | 5:23 PM

ট্যাংরা: ট্যাংরার যুবক খুনের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত গুলাম রব্বানি সহ মোট চারজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু ঝুনু রানা নামে ওই যুবকের দেহের এখনও কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। দেহ উদ্ধারের জন্য লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের তরফে ড্রোন উড়িয়ে খোঁজ চালানো হচ্ছে। তবে, ট্যাংরা খুনের ঘটনায় দেহ এখনও উদ্ধার না হলেও বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান সেগুলি দেহের সঙ্গে ছিল। সেগুলি শনাক্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত খবর, দীপুর মারফত রব্বানির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ঝুনুর। খুব বেশি দিনের পরিচয় নয় বলেই জানা যাচ্ছে। ধৃত রব্বানির দাবি, ওই যুবক তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছিল, সেই ক্রোধ থেকেই খুন করে করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই যুবকের দেহ খালে ফেলে দেওয়া কথা স্বীকারও করেছে রব্বানি।

জানা যাচ্ছে, ঝুনুর দেহ লোপাট করতে রব্বানিকে সাহায্য করেছিল তার মামা শাহনওয়াজ। শাহনওয়াজ ও রব্বানির বৌ আয়েশা নূরকেও গ্রেফতার করেছে লালবাজারের পুলিশ। এছাড়া দীপুকেও জেরা করা হচ্ছে। তবে রব্বানীর ফ্ল্যাটের দেওয়ালে নতুন রঙ দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান যে কোন ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে ঝুনুকে। তারপর সেই রক্তের দাগ মুছতে সাদা রঙের ওপর অপটু হাতে লাল ও সবুজ রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল। এই রঙ খুব সম্প্রতি করা হয়েছে, আর তা দেখেই পুলিশের অনুমান প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও ঝুনু রানা নামে ওই যুবকের দেহ এখন‌ও উদ্ধার হয়নি।

উল্লেখ্য, ঝুনুর পরিবার সূত্রে খবর, ৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল ঝুনু। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছিল পরিবারের তরফে। গুলাম রব্বানি নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যে ঝুনু বেরিয়েছিল, সেই কথাও পুলিশকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু তারপরও ট্যাংরা থানার পুলিশের তরফে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পরিবার লালবাজারের দ্বারস্থ হয়। গত বুধবার পরিবারের তরফে ট্যাংরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখানো হয়েছিল।