Santosh Mitra Square: বিসর্জনেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পরিবর্তন যাত্রার ডাক, পাল্টা খোঁচা তৃণমূলেরও
Sajal Ghosh: সজল ঘোষ বলছেন, “আমরা এখান থেকে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছি। আজকের মিছিলে হাঁটলেই পরিবর্তন হবে না। কিন্তু হাঁটাটা তো শুরু হোক।” সজলের সুরে সুর মিলিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। ছাব্বিশে পরিবর্তনে আশাবাদী তিনিও। একই কথা সুকান্ত মজুমদারেও।

কলকাতা: বিসর্জনেই পরিবর্তন যাত্রার ডাক বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের। বিসর্জনের মিছিলে চাকরিহারা শিক্ষক থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের আমন্ত্রণ। তা নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহলও। এদিকে মহালয়ার পর থেকেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় নেমেছিল মানুষের ঢল। একাদশী পর্যন্ত সেই ভিড়ে ভাটার কোনও ছবি দেখা যায়নি। এবার তাঁদের থিম ছিল অপারেশন সিঁদুর। এবার সেখানেই বিসর্জনে পরিবর্তন যাত্রার ডাকে স্বভাবতই শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোর।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ যদিও বলছেন, “কোনও রাজনৈতিক মিছিল নয়। এদিন অসুরের প্রতিমার নিরঞ্জন বা অসুরের বিসর্জন হয়। আমরা বলছি সমস্তরকম অসুরের বিসর্জন হোক। শুধু একটা বুড়ো মহিষাসুর কমে থেকে মায়ের ঠ্যাঙানি খাচ্ছে, ত্রিশূল বুকে নিয়ে শতকের পর শতক শুয়ে আছে। শুধু তাঁকে না মেরে, আজকাল যে এত অসুর চারদিকে ঘুরছে এই সব অসুরের বিসর্জন দরকার। এই সব অবস্থার পরিবর্তন হোক, বাংলার পরিবর্তন হোক। তাই আমাদের নিরঞ্জন যাত্রাটা এই নামে ডেকেছি।”
তবে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূলও। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, “এক সময় প্রদীপ ঘোষ গুছিয়ে পুজো করতেন। শিয়ালদহ স্টেশের পাশে হওয়ার কারণে ট্রেন থেকে যারা নামেন, দূর থেকে যাঁরা আসেন তাঁরা প্রথমেই একটা বড় পুজো পান, ভিড় হয়। গলিটা সরু হওয়ার জন্য দেখতে লাগে বেশি লোক। ওটায় চিরকালই ভিড় হয়। এখন বিজেপির দলে ওটা গেছে।” সজল ঘোষ যদিও বলছেন, “আমরা এখান থেকে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছি। আজকের মিছিলে হাঁটলেই পরিবর্তন হবে না। কিন্তু হাঁটাটা তো শুরু হোক।” সজলের সুরে সুর মিলিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। ছাব্বিশে পরিবর্তনে আশাবাদী তিনিও। একই কথা সুকান্ত মজুমদারেও। তিনি বলছেন, “রামচন্দ্র রাবণের বধ করতে দেবীর অকাল বোধন করেছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বাঙালির দুর্গাপুজোয় অংশ নিয়েছেন। আমার মনে হচ্ছে এবার তৃণমূল কংগ্রেস নামে যে রাজনৈতিক রাবণ বাংলায় তৈরি হয়েছে তার বধ আসন্ন।”
