Anubrata Mondal: কেষ্টর ‘খুঁটিই’ উপড়ে নিল তৃণমূল! এখন শুধুই ‘পাঁচজনের একজন’

Anubrata Mondal: পাকাপাকিভাবে খাতায়-কলমে আর থাকছে না কোনও জেলা সভাপতি। এবার থেকে বীরভূমে দলের দায়িত্ব থাকবে কোর কমিটির হাতেই। অর্থাৎ, এখন থেকে আর অনুব্রত মণ্ডলকে আর বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলে ডাকা যাবে না।

Anubrata Mondal: কেষ্টর খুঁটিই উপড়ে নিল তৃণমূল! এখন শুধুই পাঁচজনের একজন
অনুব্রত মণ্ডলImage Credit source: TV 9 Bangla GFX

| Edited By: জয়দীপ দাস

May 16, 2025 | 7:43 PM

কলকাতা: শুক্রবার বিকালে আচমকা এল খবরটা। জেলায় জেলায় সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল করে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। বড় বদল হয়েছে কলকাতা উত্তরে। সেখানে তৈরি হয়েছে কোর কমিটি। দায়িত্বে ৯ নেতা। এদিকে এই ‘কোর কমিটির’ রসায়ন আগেই দেখা গিয়েছিল কোন্দল কাঁটায় বিদ্ধ বীরভূমে। এবার সেখান থেকে দলের সভাপতি পদটাই তুলে দিল তৃণমূল। পাকাপাকিভাবে খাতায়-কলমে আর থাকছে না কোনও জেলা সভাপতি। এবার থেকে বীরভূমে দলের দায়িত্ব থাকবে কোর কমিটির হাতেই। অর্থাৎ, এখন থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে আর বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলে ডাকা যাবে না। এক সময়ের বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ এখন শুধুই কোর কমিটির সদস্য। 

সব জেলাতেই জেলা সভাপতি রয়েছেন। কিন্তু, কোনওকালেই অনুব্রতর মতো নাম-ডাক বিশেষ কারও শোনা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এখানেই তিনি অনন্য। এখানেই তিনি অপ্রতিরোধ্য। এখানেই তিনি সম্পূর্ণ আলাদা। নিজের ক্যারিশমাতেই ‘উন্নয়নকে দাঁড় করিয়ে ছিলেন রাস্তায়’। বাজিয়েছিলেন ‘চড়াম চড়াম’ ঢাক। অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন শঙ্খ ঘোষের মতো কবিও। লিখেছিলেন ‘দেখ খুলে তোর তিন নয়ন/ রাস্তা জুড়ে খড়্গ হাতে/ দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।’ সাংসদ থেকে বিধায়ক-মন্ত্রী, কোনওকালেই সেসব হননি কেষ্ট। কিন্তু, কেষ্টই যে তাঁদের অনুপ্রেরণা, তা বারেবারে বলেছেন তাঁর এলাকার সাংসদ-বিধায়করা। এবার সেই অনুব্রতর ডানা ছেঁটে ফেলায় চাপানউতোর না হলে তাই ছিল আশ্চর্যের, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের। রদবদলের খবর সামনে আসতেই বীরভূম তো বটেই গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক আঙিনায় জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু এই সিদ্ধান্তই নয়, বীরভূমের এবার থেকে দুই সাংসদকে কোর বৈঠকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। 

প্রসঙ্গত, বীরভূমের কোর কমিটির ৭ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখ, চন্দ্রনাথ সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষ,অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায় চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কমিটির বৈঠক নিয়ে বারেবারে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতি-অনুপস্থিতি নিয়েও চাপানউতোর কম হয়নি। প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে কাজল শেখের মতো নেতাকে। এই অবস্থায় ‘জেলা সভাপতির’ পদই তুলে ফেলা ভোটের আগে আলাদা করে যে তাৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।