AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বড় পদক্ষেপ হাইকোর্টের! নিহত বিজেপি নেতার ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ

Post Poll Violence: পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এতদিন ধরে যে বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি ঘুরে দেখল, তার চূড়ান্ত রিপোর্টও মঙ্গলবার আদালতে জমা পড়েছে

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বড় পদক্ষেপ হাইকোর্টের! নিহত বিজেপি নেতার ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2021 | 1:41 PM
Share

কলকাতা: নিহত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালকে এই নির্দেশ দিয়েছে। নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কিছুদিন আগেই অভিজিৎ সরকারের দেহ দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হল। কারণ একটাই, কমান্ড হাসপাতালের মর্গের যে জায়গা তা খুবই অল্প। ফলে সেখানে দিনের পর দিন দেহ ফেলে রাখা সমস্যার বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানায়। আইনজীবী মহেশ জেঠমালানির দাবি, নিহতের দাদা ডিএনএ টেস্টে সম্মতি দিয়েছেন। জেঠমালানি বলেন, “তাঁর জানা উচিৎ এই দেহ আদৌ তাঁর ভাইয়ের কি না।”

এরপরই আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নিহত অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। আগামী সাতদিনের মধ্যে কলকাতায় সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবেরটরি (CFSL) আদালতকে রিপোর্ট পাঠাবে।

পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এতদিন ধরে যে বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি ঘুরে দেখল, তার চূড়ান্ত রিপোর্টও মঙ্গলবার আদালতে জমা পড়েছে। সেই রিপোর্ট রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সমস্ত আইনজীবীরাও পাবেন বলেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আরও পড়ুন: পুকুরে স্নানে নেমেছিলেন বৃদ্ধা, পাশের গ্রামের যুবক গিয়ে যা করল লজ্জায় মাথা হেঁট হওয়ার জোগাড়

প্রসঙ্গত গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার প্রথম থেকেই অভিযোগ করে এসেছিল, এটি সাধারণ খুন নয়, রাজনৈতিক হিংসার জের। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অভিজিৎকে বেধড়ক মারধর করে। গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বুথ কর্মী অভিজিৎ বিজেপি-র ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। এরপর অভিজিৎ সরকারের দাদা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ জুলাই।