Chandranath Sinha: ‘আনলাকি 13’! আজ আদালতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথের ভাগ্য পরীক্ষা

ED On Chandranath Sinha: ইডি চার্জশিটে আরও উল্লেখ করেছে, চন্দ্রনাথ ১৫৯ জন প্রার্থীর তালিকা দিয়েছিলেন। প্রত্যেকের থেকে গড়ে ৮ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে সাক্ষীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে মনে করছে ইডি। সেই মোতাবেক ১৫৯*৮ অর্থাৎ ১২.৭২ কোটির হিসাব  দিচ্ছে ইডি।

Chandranath Sinha: আনলাকি 13! আজ আদালতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথের ভাগ্য পরীক্ষা
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 16, 2025 | 11:05 AM

কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, মঙ্গলবার আদালতে ভাগ্য পরীক্ষা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার। এদিন বিশেষ সিবিআই আদালতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ কি চাকরি বিক্রির প্রায় ১৩ কোটির হিসেবে দিতে পারবেন? মন্ত্রীর কাছে এই সংখ্যা এখন ‘আনলাকি 13’। প্রশ্ন এখন ঘোরপাক খাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে আরও এক গুচ্ছ। হিসাব দিতে না পারলে মন্ত্রীর জামিন কি বহাল রাখবে আদালত? উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, প্রাথমিকে চাকরি বেঁচে চন্দ্রনাথের পকেটে ১২.৭২ কোটি টাকা গিয়েছে।

মন্ত্রীর হিসাব বহির্ভূত আয়ের উৎস জানতে তৎপর ইডি আধিকারিকরা। মন্ত্রী ইডিকে ‘অবৈধ’ আয়ের হিসেব দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। হিসাব দিতে না পারায় চন্দ্রনাথকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি।

ইডি চার্জশিটে আরও উল্লেখ করেছে, চন্দ্রনাথ ১৫৯ জন প্রার্থীর তালিকা দিয়েছিলেন। প্রত্যেকের থেকে গড়ে ৮ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে সাক্ষীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে মনে করছে ইডি। সেই মোতাবেক ১৫৯*৮ অর্থাৎ ১২.৭২ কোটির হিসাব  দিচ্ছে ইডি। কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা জমির হিসেব কষে এই টাকার হিসেব চার্জশিটে দেখাতে পারেনি ইডি। হেফাজতে না নিলে মন্ত্রীর থেকে বাকি টাকার হিসাব মিলবে না বলে দাবি।

গত অগাস্টেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে তৎপর ইডি। ইডি সূত্রে খবর,  রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। তাঁর অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকার হদিশ মেলে।

এতদিন বিষয়টি আটকে ছিল, কারণ রাজভবন থেকে চার্জশিটের অনুমোদনের নথি হাতে পাচ্ছিল না ইডি।  আর তাতেই আটকে ছিল বিচারপ্রক্রিয়া। আদালতে ইডি দাবি করেছিল, রাজ্যপালের অনুমোদন না মেলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘ সময় পর সেই জটিলতা কাটে, আর তারপরই তৎপর ইডি। রাজভবনের অনুমোদন মিলে যায়।