Primary TET Recruitment: সুখবর! প্রাইমারি শিক্ষকপদে চাকরি পাচ্ছেন ৪৭৪ জন
Teacher Eligibility Test: আগামিকাল থেকেই মিলবে চাকরির নিয়োগপত্র।
পর্ষদসূত্রে খবর, আরও ৭৩৮ টি পদে নিয়োগ অতি দ্রুত নিয়োগ করা হবে।। ইতিমধ্যেই ৪৭৪ জনের মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, আগামিকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার থেকেই মেধাতালিকায় জেলার যে সফলপ্রার্থীরা রয়েছেন তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেছেন, “আমরা যে ৪৭৪ টি শূন্যপদে নিয়োগের মেধাতালিকা ঘোষণা করলাম, সেখানে যাঁরা অফলাইনে আবেদন করেছিলেন এবং প্রথম মেধা তালিকায় যাঁরা আসতে পারেননি অর্থাত্ ‘নট ইনক্লুডেড’ সেই সকল প্রার্থীদের মধ্যে থেকে সফলদের তালিকা বের করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রকাশিত মেধাতালিকায় প্রায় ৩০০-এর বেশি রয়েছেন আন্দোলনরত সেই চাকরিপ্রার্থীরা যাঁরা প্রথম মেধা তালিকায় আসতে পারেননি।”
সম্প্রতি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) গ্রুপ ডি (Group D) পদে নিয়োগের মামলায় সিবিআই (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের (High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। বুধবার সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দিল আদালত। আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি থাকছে।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরেই আমরণ অনশনের ডাক দিয়ে নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিদ্যালয় সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে অবস্থানে বসেন ২০১৪ সালে টেট (TET) উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়নি তাঁদের।
সরকারি নিয়ম অনুসারে, চাকরিতে নিয়োগের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আগামী দিনে তাঁরা আর চাকরিতে বহাল হতে পারবেন না। অতএব অবিলম্বে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা না হলে এই অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান ।
তারআগেই, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের একটি তালিকা তৈরি করে ডেকে পাঠায় পর্ষদ। এই চাকরি প্রার্থীদের সকলেই অফলাইনে আবেদন জমা করেছিলেন। সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েই স্ক্রুটিনির জন্য ডেকে পাঠানো হয়। গত ২৭ অক্টোবর (২৭.১০.২০২১) এই স্ক্রুটিনি, তথ্য যাচাই ও ভাইভা, অ্যাপটিটিউট টেস্ট হয়।
যাঁদের এই পর্বে ডাকা হয় সকলেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বরের নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিসের ভিত্তিতেই তাঁদের ডাকা হয়।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, সেই উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত নথি যাচাইয়ের জন্য সময় দেওয়া হয়। যদি অনলাইনে অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে ওই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি নথি জমা করতে পারবেন বলেও জানানো হয়। অনেকেই অফলাইনে তা জমা দেন।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাঁদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আদালতের ভর্ত্সনার মুখেও পড়েন। এরপরই নিয়োগপর্ব নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে পর্ষদ। অবশেষে বুধবার চূড়ান্ত নিয়োগতালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Kalyan Banerjee: ‘ম্যানহোল খুললে গঙ্গায় তো ময়লা ভাসবেই…’