Ajanta Biswas on Buddhadev: বুদ্ধকাকুকে ওই একটা দিন ফোন করতাম: অনিল-কন্যা অজন্তা

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 09, 2024 | 7:31 PM

Ajanta Biswas on Buddhadev: ‘আমার বুদ্ধকাকুর সঙ্গে প্রচুর স্মরণীয় মুহূর্ত কেটেছে। তবে সেসবের মধ্যে সব থেকে প্রিয় স্মৃতি একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া। আমার ছোট বেলায় বাবা-মা ও আমি এবং বুদ্ধকাকু, মীরা কাকিমা ও সুচেতন- আমরা অনেকবার একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছি।’ লিখছেন অনিল-কন্যা অজন্তা।

Ajanta Biswas on Buddhadev: বুদ্ধকাকুকে ওই একটা দিন ফোন করতাম: অনিল-কন্যা অজন্তা
কী লিখলেন অজন্তা ?
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

(রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াত। টিভি ৯ ডিজিটালে তাঁকে নিয়ে কলম ধরলেন বন্ধু তথা সিপিআইএম-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাস)

বুদ্ধবাবু না। আমার কাছে তিনি বুদ্ধকাকু। বরাবর এভাবেই সম্বোধন করেছি। আজ সকালে খবরটা শোনামাত্র ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। মাকেও জানাতে বাধ্য হয়েছি দুঃসংবাদটা। আসলে অনেক দিনের সম্পর্ক তো, তাই কঠিন হলেও সত্যটা জানালাম। এদিকে, টিভি নাইন ডিজিটাল থেকে বুদ্ধকাকুকে নিয়ে কলাম লেখার অনুরোধ এসেছে, কিন্তু বুঝে উঠতে পারছি না ঠিক কী লিখব! আসলে অনেক স্মৃতি, অনেক অনেক মুহূর্ত…কোথা থেকে শুরু করব, কোনটা লিখব, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না! জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখছি বুদ্ধকাকুকে। সেই বুদ্ধকাকু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না, প্রশাসক নয়, বরং অনেক বেশি পারিবারিক ও আন্তরিক। আমার বাবা অনিল বিশ্বাস ও বুদ্ধকাকু কেবলমাত্র একে অপরের কমরেড ছিলেন না, তাঁরা ছিলেন আক্ষরিক অর্থে অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। আর যে কথা হয়তো অনেকেই জানেন না তা হল, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও অনিল বিশ্বাস একেবারে সমবয়সি। মানে, তাঁরা জন্মেছিলেন একই বছরের একই দিনে। ১ মার্চ, ১৯৪৪। এটাকে অদ্ভুত সমাপতন ছাড়া আর কী বলব! 

নদিয়ার করিমপুরের অনিল আর উত্তর কলকাতার বুদ্ধদেবকে মিলিয়ে দিয়েছিল সেদিনের ছাত্র রাজনীতি। আমার বুদ্ধকাকুর সঙ্গে প্রচুর স্মরণীয় মুহূর্ত কেটেছে। তবে সেসবের মধ্যে সব থেকে প্রিয় স্মৃতি একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া। আমার ছোট বেলায় বাবা-মা ও আমি এবং বুদ্ধকাকু, মীরা কাকিমা ও সুচেতন- আমরা অনেকবার একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছি। তখন আমি খুব ছোট। সব ঘটনা আজ আর হুবহু মনে নেই। তবে এটা মনে আছে যে বেরাতে গিয়ে এক অন্য বুদ্ধকাকুকে চিনেছিলাম। বুদ্ধকাকু কবিতা নিয়ে আলোচনা করতেন। সাহিত্য তো তাঁর ভীষণ পছন্দের বিষয়। বাবা-বুদ্ধকাকু দু’জনে মিলে অনেক কথা বলতেন। আমরা সমুদ্রে স্নান করেছি। সুচেতন আমার থেকে ১ বছরের ছোট। আমরা সৈকতে সবাই মিলে খেলেছি। সেইসব স্মৃতি অমলিন। তবে সব থেকে আমাকে নাড়া দিচ্ছে যে বিষয়টা তা হল পয়লা মার্চ। প্রতি বছর এই দিনটায় আমি বুদ্ধকাকুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতাম। এই বছর অবশ্য উনি খুবই অসুস্থ থাকায় আর কথা বলতে পারিনি। বিশেষত আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকে ওই দিনটায় ওই একজনকেই উইশ করতাম। আর তখনই উনি আমার বাবার প্রসঙ্গ তুলতেন। সেই দিনটা তো আসলে দুই বন্ধুরই জন্মদিন। তাই উনিও ভুলতে পারতেন না। প্রিয় বন্ধুর কথা তুলতেনই। বাবা চলে গেলেও পয়লা মার্চ উইশ করার মতো একটা মানুষ ছিলেন। তা আর রইল না। ১লা মার্চে আরও একলা হয়ে গেলাম…

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

Next Article