Suvendu Adhikari: ‘মাকুদের রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে উপড়ে ফেলার কাজ বিজেপিই করবে’, ব্রাত্যদের গ্রেফতারের দাবি তুলে যাদবপুরে হুঙ্কার শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: দিনের মিছিল থেকে ব্রাত্য বসু, ওমপ্রকাশ মিশ্রদের গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। পোস্টারও নিয়ে আসেন বিজেপি কর্মীরা। প্রসঙ্গত, শুরুতে যে রুটে বিজেপি মিছিল করতে চেয়েছিল তা করতে পারেনি। বিজেপির দাবি ছিল, যাদবপুরের ওই এলাকায় মিছিলের অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ।

কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে শুভেন্দু অধিকারী। আগে যে মিছিল হওয়ার কথা ছিল সুলেখা থেকে, সেই মিছিলের রুটই বদলে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। মিছিল শুরু হল নবীনা সিনেমা হলের সামনে থেকে। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ধরে এগিয়ে যায় বিজেপির মিছিল। যায় যাদবপুর থানা পর্যন্ত। শুভেন্দুর সঙ্গেই মিছিলে হাঁটছেন কৌস্তভ বাগচি, ইন্দ্রনীল খাঁয়েদের মতো নেতারা। রয়েছেন আরও একাধিক প্রথমসারির নেতা। ‘মার্ক্সবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসাথে’-র মতো স্লোগানও তুললেন গলা ছেড়ে। বিজেপির দাবি, যাদবপুরের ভিতরের যে অচলাবস্থা তার দায় সিপিএম এবং তৃণমূলের।
এদিনের মিছিল থেকে শুভেন্দু বাম-তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে সুর চড়ান শুভেন্দু। বিজেপি যে যাদবপুর ইস্যুতে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন। সাফ বলেন, “আমরা শুধু আজ কর্মসূচি নিচ্ছি এমনটা নয়। ১৬ তারিখে আমরা যাদবপুরে নাগরিক কনভেনশন করব। উচ্চমাধ্য়িক শেষ হলে বাইরে আমরা কাজ করব। লাগাতার জনজাগরণ করব। এই মাকুদের রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে উপড়ে ফেলার কাজ ভারতীয় জনতা পার্টি করবে।”
অন্যদিকে এদিনের মিছিল থেকে ব্রাত্য বসু, ওমপ্রকাশ মিশ্রদের গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। পোস্টারও নিয়ে আসেন বিজেপি কর্মীরা। প্রসঙ্গত, শুরুতে যে রুটে বিজেপি মিছিল করতে চেয়েছিল তা করতে পারেনি। বিজেপির দাবি ছিল, যাদবপুরের ওই এলাকায় মিছিলের অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের অনুমতিতে শেষ পর্যন্ত এই মিছিল বিজেপির। আদালতের নির্দেশিকা বলছে, বেলা এগারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত সাড়ে সাতশো সমর্থক নিয়ে এই মিছিল করতে পারবে বিজেপি। বিজেপির দাবি, তাঁরা আদালতের যাবতীয় নির্দেশিকা মেনেই এই মিছিল করছেন। প্রসঙ্গত, বিজেপির এই মিছিল মামলা কলকাতা হাইকোর্টে উঠতেই ১৩ তারিখ পর্যন্ত যাদবপুর চত্বরে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে সাফ ‘না’ করে দিয়েছেন বিচারপতি।
