
কলকাতা: সকাল থেকে দফায় দফায় প্রতিবাদ। মুর্শিদাবাদে মৃত বিএলও-র পরিবারকে নিয়ে রাজ্যের সিইও দফতরের সামনে হাজির হন প্রতিবাদী বিএলওরা। বিশাল জমায়েত করে চলে বিক্ষোভ। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দেখা করতেই হবে, এই দাবিকে সামনে রেখেই পারদ চড়ায় তাঁরা। বসে পড়ে রাস্তায়। এই পর্যায়ে কমিশনের দফতরে ঢোকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায় বিএলওদের।
দিনভর দেখা করার দাবিকে ‘চওড়া’ করে চলে বিক্ষোভ। দিনশেষে মিলল সাক্ষাৎ। শনিবার বিকাল নাগাদ মৃতদের পরিবার-সহ বিএলওদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। মুর্শিদাবাদে ‘এসআইআর চাপে’ হার্ট অ্যাটাকে মৃত বিএলও-র পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৃত বিএলওর ভাই, জোসেফ হোসেন বলেন, ‘আমরা ওনাকে জানাই, একমাত্র উনিই পরিবারের উপার্জনকারী ছিলেন। তাঁর কাঁধেই গোটা পরিবারের দায়িত্ব ছিল। সিইও আমাদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। জানিয়েছেন, জেলাশাসকের মারফৎ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। পাশাপাশি, দাদার মৃত্য়ু যেহেতু কাজে থাকাকালীন হয়েছে, সেহেতু ভাইপোর কাজের জন্য় আবেদন জানানো হয়েছে। সিইও রাজ্য ও কেন্দ্রকে সেই মর্মে একটি চিঠি পাঠাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
কিন্তু এই একটাও প্রতিশ্রুতি পূর্ণ না হলে জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়াবে বলেই বার্তা দিয়েছেন মৃতের পরিবার। এদিন তাঁরা বলেন, ‘আমরা যদি সাহায্য় না পাই, তা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামব। কমিশন ঘেরাও করব।’ প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে খড়গ্রামে মৃত্যু হয়েছে আরেক বিএলওর। যা ঘিরে পারদ চড়েছে বঙ্গ রাজনীতির। বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দিঘা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জাকির হোসেনের। পরিবারের দাবি, কাজের চাপ বেড়েছিল তাঁর। সেই দায়িত্ব সামলাতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য, শনিবার বিকালে মৃতর স্ত্রী জানান, ‘তাঁর শরীর ডায়াবেটিস ছিল। অসুস্থ থাকতেন। এর মধ্যে কাজের চাপ বেড়ে যায়।’