AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

যে মুখে বিষ ঢেলেছিলেন, আজ শুধু চাইছেন ‘জল’, এই প্রথম মাকে দেখলেন অমৃত

Putul Mandal: এই প্রথম চোখের সামনে ছেলে অমৃতকে দেখলেন গত ২৪ অগস্ট বিষপান করা শিক্ষিকা পুতুল দেবী। চাইলেন জল। সে কথাই এদিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জানালেন ছেলে অমৃত মণ্ডল।

যে মুখে বিষ ঢেলেছিলেন, আজ শুধু চাইছেন 'জল', এই প্রথম মাকে দেখলেন অমৃত
গত ২৪ অগস্ট বিষ পান করেন শিক্ষিকা
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 12:17 AM
Share

কলকাতা: এই প্রথম চোখের সামনে ছেলে অমৃতকে দেখলেন গত ২৪ অগস্ট বিষপান করা শিক্ষিকা পুতুল দেবী। চাইলেন জল। সে কথাই এদিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জানালেন ছেলে অমৃত মণ্ডল।

“মায়ের সঙ্গে দেখা হল। আগের চেয়ে মা ভাল আছে। কথা বলতে চেষ্টা করেও পারেননি। শুধু জল শব্দটা বলেছেন। উঠে বসতে চেষ্টা করছেন।” তবে গত ২৪ অগস্ট শিক্ষিকা পুতুল মণ্ডলের পর এই প্রথমবার মাকে দেখে আশ্বস্ত হলেন ছেলে অমৃত। এদিন আরজি কর হাসকপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, মায়ের মুখে যে আর নল লাগানো নেই এটাই তাঁকে অনেকটা আশ্বস্ত করেছে।

এদিন দুপুরে আরজি কর হাসপাতালে মা-কে দেখতে যান অমৃত। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, চিকিৎসকেরা বলেছেন, উনি যদি নিজে থেকে এভাবে খেতে পারেন তাহলে আর নাকে নল লাগাতে হবে না। আরও ভালভাবে মায়ের চিকিৎসক করা যায় এবং তিনি যাতে প্রতিদিন মাকে দেখতে পারেন, এটাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ছেলের।

উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট পাঁচজন শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করার অভিযোগে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান পাঁচ শিক্ষিকা। সেখানে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা। শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের প্রতিবাদ ঘিরে সেদিন এই তুলকালাম পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষিকাদের চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন শিক্ষিকা অনিমা নাথ জানান, “আজ আমরা বিষ খেয়েছি সবাই। আমরা মরে যাব, আমরা বাঁচব না। আমি বৃত্তিমূলক শিক্ষিকা। এ রাজ্যে কিছুই হওয়ার নেই আমাদের।”

এদিন সেই পাঁচ শিক্ষিকার মধ্যে একজন পুতুল দেবীকে দেখার অনুমতি পান তাঁর ছেলে। মা আগের থেকে ভাল বলে জানান তিনি। চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও এখন তাঁর কোনও অসন্তোষ নেই বলে জানান। আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্ট বিষ কাণ্ডে গুরুতর ভাবে চিকিৎসাধীন পুতুল মণ্ডলের ছেলে অমৃত মণ্ডল। তবে প্রথমে মা’কে দেখতে এসে অমৃত অভিযোগ করেছিলেন, মায়ের শারীরিক অবস্থা কেমন তা ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পরিবারের উপরে চাপ তৈরি করে হচ্ছে। তাঁদের নামখানার বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নেতৃত্বে হুমকি এসেছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

তাছাড়া শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ম‌ইদুল ইসলাম পুতুল দেবীর মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশের দাবি তোলেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পুতুল দেবীর উন্নত চিকিৎসা সম্ভব না হলে পরিবার নিজের দায়িত্বে চিকিৎসা করাবেন বলে জানান ম‌ইদুল। তবে এদিন মাকে দেখে খুশি ছেলে। আরও উন্নত চিকিৎসার দাবি করেন তিনি ।

প্রসঙ্গত, এসএসকে ও এমএসকের পাঁচ শিক্ষিকাকে অনৈতিক ভাবে বদলি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বদলির অস্বচ্ছতার দাবি তুলে রাস্তায় নামে শিক্ষক ঐক্যমঞ্চ। এরপরই প্রকাশ্যে হাতে বিষের শিশি নিয়ে গলায় ঢেলে দেন পাঁচজন। এরই মধ্যেও সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন শিক্ষিকারা। তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। শিক্ষিকারা অভিযোগ তোলেন, এক জেলা থেকে দূরের কোনও জেলায় এ ভাবে শিক্ষিকাদের বদলি করে দেওয়ার কোনও কারণ ছিল না। তবু এই আচরণ করছে সরকার। অন্যদিকে এই ঘটনার শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সরকার।

আরও পড়ুন: ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে বামেদের শ্রীজীব! কে ইনি? জেনে নিন