ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে বামেদের শ্রীজীব! কে ইনি? জেনে নিন

Bhawanipur Bypolls CPIM: ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে শ্রীজীব বিশ্বাস নামক বামপন্থী আইনজীবীই বাকিদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নামবেন শ্রীজীব। 

ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে বামেদের শ্রীজীব! কে ইনি? জেনে নিন
ভবানীপুরে বামেদের পক্ষ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন পেশায় আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 6:56 PM

কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhawanipur Bypolls) হচ্ছেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে জয়ী করানোর লক্ষ্য নিয়ে। তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম আগে থেকেই নির্ধারিত থাকলেও বিজেপি অথবা বাম-কংগ্রেস জোট দুপুর পর্যন্ত প্রার্থীর নাম জানায়নি। বিজেপি সম্ভবত বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেবে। তবে তার আগে প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিয়েছে বামেরা। কংগ্রেস প্রথমে লড়বে বলেও শেষে পিছিয়ে এসেছে। সূত্র জানাচ্ছে, শেষমেশ সিপিএম (CPIM)-ই মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএমের প্রার্থী হওয়ার জন্য আপাতত ৬ জনের নাম এগিয়ে ছিল। তবে ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে শ্রীজীব বিশ্বাস নামক বামপন্থী আইনজীবীই বাকিদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নামবেন শ্রীজীব।

বামেদের পক্ষ থেকে বুধবার বিকেলে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন-সহ বাকি দুই আসনে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবানীপুর আসনে প্রার্থী হচ্ছেন শ্রীজীব বিশ্বাস। সমশেরগঞ্জের আসনে যিনি কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি ভোটে লড়তে চাননি। যে কারণে এই আসনেও প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। প্রার্থী হয়েছেন মহম্মদ মোদ্দাসার হোসেন। অন্যদিকে, জঙ্গিপুরে বিধানসভা কেন্দ্রে আগে থেকেই সিপিএম জানে আলম মিঞাঁকে প্রার্থী করেছিল। তিনিই সেই আসনে প্রার্থী রয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত বিধানসভা আসনে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। কিন্তু এবার কোনও আসনেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিয়ে কার্যত জাতীয় স্তরে জোটের দরজা খোলা রাখল কংগ্রেস।

সিপিএম সূত্রে খবর, কলকাতা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি বৈঠকে একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সিলমোহর পড়ে শ্রীজীবের নামে। শ্রীজীব একসময় বামপন্থী যুব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বর্তমানে পেশাগতভাবে তিনি আইনজীবী, এবং বামপন্থী হিসেবেই পরিচিত। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাম শরিকদের মতামতই বেশি গুরুত্ব পেল বলছে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে শ্রীজীবের নামের ওজন খুব বেশি না হলেও সিপিএমের বক্তব্য, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির তরুণ নেতাকেই তারা অগ্রাধিকার দিয়েছে। জেলা কমিটির বৈঠকে আলোচনায় শ্রীজীব ছাড়াও উঠে এসেছিল কলতান দাশগুপ্ত, সত্যব্রত ঘোষ, রীতা সেন ও রাজেন্দ্র প্রসাদের নাম।

তবে তিন আসনে ভোট হওয়ার থাকলেও কংগ্রেস কোনও আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ায় একে হাইকমান্ডের অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ একটি পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে প্রদেশ কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত বৃহৎ জোটের ক্ষেত্রে মদত করে কি না সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভোট ঘোষণার পরও পুজো অনুদান কেন? রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যা চাইল নির্বাচন কমিশন

আরও পড়ুন: লাশকাটা ঘরে শুয়ে অভিজিৎ নাকি অন্য কেউ? চার মাস পর জানতে পারল পরিবার