AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভোট ঘোষণার পরও পুজো অনুদান কেন? রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যা চাইল নির্বাচন কমিশন

Bhawanipur Bypolls Election Commission: এই ঘোষণার পর গতকালই বিজেপির পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়। তারপরই জবাব তলব করল কমিশন।

ভোট ঘোষণার পরও পুজো অনুদান কেন? রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যা চাইল নির্বাচন কমিশন
ভবানীপুরে ভোট ঘোষণার পরও পুজো কমিটিকে অনুদান কী ভাবে? রাজ্যের জবাব চাইল কমিশন
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 5:56 PM
Share

কলকাতা: ভবানীপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনের (Bhawanipur Bypolls) দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। সেই সঙ্গে কার্যকর করা হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। কিন্তু তারপরও মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক প্রশাসনিক অনুষ্ঠান থেকে পুজো কমিটিগুলির জন্য ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে এবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এই ঘোষণার পর গতকালই বিজেপির পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়। তারপরই জবাব তলব করল কমিশন।

গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভাঙার জন্য কমিশনের কোপে পড়তে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁর প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কোচবিহারের একটি সভা থেকে মমতা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘ঘেরাও’ করার নিদান দিয়েছিলেন। যার প্রেক্ষিতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। এ বার নতুন করে রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিজেপি দাবি করছে, এই ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনী বিধি ভাঙছে শাসকদল। এমনকী, পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কে প্রচার করতে বলা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। যা আবারও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে বলে কমিশনের নিকট দাবি পদ্মশিবিরের।

বিজেপির নালিশের পরই দ্রুত বিষয়টি নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। কেন পুজো ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হল? স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকার কাছে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, শুধুমাত্র দলের নেতাই নয়, দলও নির্বাচনী আচরণ বিধির আওতায় পড়ে। ঠিক সেই কারণেরই রাজ্য সরকারের কাছে এই ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। যেহেতু গতকাল অনুদানের ঘোষণা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল, সেই কারণে বিজেপি অভিযোগ জানানোর পরেই ব্যাখা তলব করা হল স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিবের কাছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের দফতরের দায়িত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই রয়েছেন।

এই তলব আসার পরই চিঠির উত্তরে স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, কোনও রকম বিধি ভঙ্গ হয়নি। কারণ মুর্শিদাবাদ জেলা এবং ভবানীপুরের কোনও ক্লাবকে ওই বৈঠকে ডাকা হয়নি। ওই দুই এলাকার ক্লাবকে অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রসচিব মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের থেকে এই অনুমতিও নিয়েছিলেন।

সাংগঠনিক সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া গতকাল গিয়েছিলেন নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে শিশির বলেন, “আমরা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছি নির্বাচন কমিশনের কাছে। পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, আড়াই হাজার পুজো কমিটি কলকাতায় আছে। নির্বাচনের সময় বিধি ভঙ্গ করে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে ক্লাবগুলোকে। এই বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও যাব।”

ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের আসনে ভোটের জন্য যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়, সেই দাবিও জানাতে শোনা গিয়েছে বিজেপিকে। পদ্মশিবিরে আশঙ্কা, মাত্র তিন আসনে ভোটেও সন্ত্রাস হতে পারে। তাই রাজ্যের নিরাপত্তার উপর আস্থা নেই বিরোধী দলের। যে কারণে এ দিন পদ্মশিবির আবেদন জানিয়েছে যাতে প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়। আরও পড়ুন: পুজোয় ৫০ হাজারের অনুদান! মমতার বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ পদ্মের, চাওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনী