কলকাতা: শারীরিকভাবে তিনি পাঁচজনের মতো ‘ফিট’ নন ঠিকই। তবে জেদ ও মানসিক দৃঢ়তার জোরে যে ‘কঠিন’ নামক শব্দটিকে সহজেই হারিয়ে দেওয়া যায়, সেটা করে দেখিয়েছেন হালিশহরের রবি দাস।
আঠাশের বাম ব্রিগেডের (Brigade Rally) মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ হয়েছে আজ, শনিবার। তবে একদিন আগে অর্থাৎ শুক্রবারই হুইলচেয়ার ঠেলে ময়দানে পৌঁছে যান রবি। জন্ম থেকে শারীরিকভাবে দুর্বলতা থাকলেও কখনই মানসিক অক্ষমতা তাঁকে পেয়ে বসেনি। ঘরোয়াভাবে বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী পরিবারবর্গদের সঙ্গে বেড়ে ওঠার কারণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা হওয়ার পর থেকেই রবিও সেদিকেই ঝুঁকে গিয়েছিলেন।
উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে ১৯৮৫ সালে নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রবির। জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। ফলে লটারির টিকিট বিক্রির করেই সংসার চলত। আগাগোড়া বাম-মনস্ক হওয়ায় টানা ২০ বছর ধরে একাধিকবার এসেছেন বিগ্রেড সমাবেশে। এ বারও বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশের কথা শুনে বাড়ি বসে থাকতে পারেননি। ব্রিগেডের কথা শুনে সময় নষ্ঠ না করে নিজের হুইলচেয়ার লাল রঙের পতাকায় সাজিয়ে বেরিয়ে পড়েন ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: ব্রিগেডে থাকতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
রবি জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তিনি। টানা হুইলচেয়ার টেনে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছন ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টায়। কমরেডদের মুখে রবি শুনেছেন, এ বছর নাকি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট করে ভোটে লড়ছে। তাই তিনি চান, ২০২১ সালে সিপিএম-কংগ্রেস জোট সরকার ক্ষমতায় আসুক। উদ্যোক্তরা কথায়, রবি দাসের মতো কমরেডের উপস্থিতিই উৎসাহ জোগাচ্ছে বাকিদের।