AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘রাহুল গান্ধীর যোগ্যতা নিশ্চয়ই তৃণমূলের মুখপত্র ঠিক করবে না’, জাগো বাংলার প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ফোরক অধীর

Leader Mamata Banerjee: ভোট ২০২৪-এ। এখন থেকেই উনি যদি বলতে শুরু করেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলাম, তা হলে তো লোকে হাসবে, মমতার উদ্দেশে বার্তা অধীরের।

'রাহুল গান্ধীর যোগ্যতা নিশ্চয়ই তৃণমূলের মুখপত্র ঠিক করবে না', জাগো বাংলার প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
জোট হলে মুখ রাহুল গান্ধী নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। উল্লেখ জাগো বাংলায়। অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 2:22 PM
Share

কলকাতা: রাহুল গান্ধী নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট তৃণমূল মুখপত্রে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আপত্তি নেই। তবে রাহুল নেতা নন, জোটের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। জাগো বাংলার (১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে প্রকাশিত) প্রতিবেদনে উঠে এলো সে বার্তাই। এই বার্তার চরম বিরোধিতা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অধীরের বক্তব্য, এ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরোক্ষ ভাবে বিজেপির হাতকেই শক্ত করছেন। গেরুয়া শিবির ধরেই নেবে, বিরোধী জোটে ঐক্যের অভাব রয়েছে।

শুক্রবার জাগো বাংলায় ‘রাহুল গান্ধী পারেননি, মমতাই বিকল্প মুখ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের শুরুতেই লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আমরা কখনওই বিজেপি বিরোধী বিকল্প বলছি না। কিন্তু রাহুল গান্ধী এখনও নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। দেশের বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা বিকল্প হিসাবে জননেত্রীর মুখ সামনে রেখেই গোটা দেশে প্রচার শুরু করব।’

এই লেখা নিয়ে অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, “ওনারা একদিকে বলছেন সমস্ত বিরোধী দলকে এক হতে হবে। আবার বিরোধী দলগুলির মতামত না নিয়ে তাদের অপমানিত করে, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের দলের মুখপত্রে লেখাচ্ছেন যে আমিই ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। আমার মনে হয় এই ঘটনাগুলি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে পরোক্ষ ভাবে বিজেপির হাত শক্তিশালী হচ্ছে। কারণ, বিজেপি দেখতে চায় বিরোধীদের মধ্যে অনৈক্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্রমাণ করে দিচ্ছেন এসব। এতে আখেরে লাভ হচ্ছে বিজেপির।”

অধীরের সংযোজন, “রাহুল গান্ধী যোগ্য না অযোগ্য সেটা নিশ্চয়ই তৃণমূলের মুখপত্র ঠিক করে দিতে পারে না। আমি একবারও বলছি না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্যতা নেই। কিন্তু কে পারবে আর কে পারবে না তা বিচার করার দায়িত্ব একটা পার্টির মুখপত্রের নয়। ভোট ২০২৪-এ। এখন থেকেই উনি যদি বলতে শুরু করেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলাম, তা হলে তো লোকে হাসবে। বলবে, গাঁয়ে মানে না, আপনে মোড়ল হতে চলেছেন। রাহুল গান্ধীর যোগ্যতা সম্পর্কে মনে হয় তৃণমূলের কোনও ধারনা নেই। তাই তারা এসব ছেলেমানুষি করছে। বাংলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মতের চরম বিরোধিতা করছি।”

যদিও এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “উত্তর কলকাতার জেলা তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন ছিল। সেখানে লোকসভায় আমাদের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় খুব বুঝিয়েই বলেন, এটা একটা ব্যাখ্যা। এখানে কংগ্রেসকে অসম্মান করা বা রাহুল গান্ধীকে অসম্মান করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না কিংবা কংগ্রেসকে বাদ দিয়েও কোনও বিকল্পের কথা বলেননি। যেটা বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধীকে নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ হিসাবে মানুষ গ্রহণ করছেন না। তিনি এখনও প্রস্তুত নন।”

কুণাল বলেন, “২০১৪ সাল, ২০১৯ সাল বার বার সুযোগ পেয়েও রাহুল গান্ধী এখনও সেই জায়গাটা প্রমাণ করতে পারেননি। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলে একটা আলাদা ছাপ তৈরি করেছেন। এই ফলাফলে গোটা দেশের নজর ছিল। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে দেশের বিজেপি নেতারা এসে তৃণমূলকে হারাবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের হারিয়ে দিয়েছে। সে জায়গাতেই সুদীপবাবুর ব্যাখ্যায়, যেহেতু রাহুল গান্ধী বিকল্প মুখ হিসাবে এখনও প্রস্তুত নন। সারা দেশের মানুষ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই ধরনের একটা প্রচার হবে।”

আরও পড়ুন: কংগ্রেসে আপত্তি নেই, তবে জোট হলে মুখ রাহুল নন, মমতাই! ‘জাগো বাংলা’য় স্পষ্ট বার্তা তৃণমূলের