Kolkata Suicide: পালিয়ে ঠাঁই নিয়েছিলেন কলকাতায়, তারপরও কেন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? যুগলের মৃত্যুতে দানা বাঁধছে রহস্য

Kolkata: জানা যায়, ৭ ই জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন সংগীতা। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ৮ ই জুন রাজস্থানের মান্ডবা থানায় মিসিং ডায়রি করে তাঁর পরিবার।

Kolkata Suicide: পালিয়ে ঠাঁই নিয়েছিলেন কলকাতায়, তারপরও কেন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? যুগলের মৃত্যুতে দানা বাঁধছে রহস্য
কলকাতার ফ্ল্যাটে যুগলের আত্মহত্যা (গ্রাফিক্স: অভিজিৎ বিশ্বাস)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 5:39 PM

কলকাতা: সম্পর্কের টালবাহানা চলছিল। ছিল পরিবারের জোরাজুরি। ছেলে-মেয়ের দু’টির প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার আর তার কারণে অবলীলায় চলে গেল তরতাজা দু’টি প্রাণ। কলকাতার কার্ল মার্ক্স সরণির ফ্ল্যাটে যুগলের আত্মহত্যার ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

মৃত দু’জনের নাম দীনেশ কুমার কালোয়া (২৯) ও সংগীতা লাল (১৯)। তাঁরা রাজস্থানের বাসিন্দা। গত ১৩ জুন রাজস্থান থেকে কলকাতায় আসেন তাঁরা। দীনেশের বন্ধু রঞ্জিত সাউয়ের ফ্ল্যাটে ওঠেন তাঁরা। এরপর বুধবার রাত্রিবেলা যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ।

ধীরে-ধীরে তদন্ত এগোয়। জানা যায়, ৭ ই জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন সংগীতা। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ৮ ই জুন রাজস্থানের মান্ডবা থানায় মিসিং ডায়রি করে তাঁর পরিবার।

আজ তদন্তকারী অফিসাররা রাজস্থানের স্থানীয় থানার মাধ্যমে সংগীতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনই জানতে পারেন, দু’জনের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিল না সংগীতার পরিবার। সেই কারণে দীনেশ ও সংগীতা রাজস্থান থেকে পালিয়ে কলকাতায় চলে আসেন। ইতিমধ্যে সংগীতা লালের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, মেয়ের দেহ নিতে রাজি হচ্ছেন না তাঁরা। তবুও পুলিশের তরফ থেকে যথার্থ চেষ্টা করা হচ্ছে।

কলকাতা পুলিশের অনুমান, রাজস্থান থেকে পালিয়ে এলেও দু’জনের মনে ভয় ছিল। তাঁরা বুঝতে পারছিলেন তাঁদের এই প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পাবে না। মেনে নেবে না পরিবার। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না দু’জনই। শেষমেশ নিলেন মর্মান্তিক এই সিদ্ধান্ত। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়লেন দু’জনই। যদিও, ওই ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে দাবি অফিসারদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, সংগীতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা পুলিশকে জানায়, বিয়ের আগে মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পরিবারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অসম্মানজনক। একই সঙ্গে তাঁরা এও জানিয়েছেন দীনেশ বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তাই কোনও ভাবেই তাঁরা মেয়ের সঙ্গে এই ছেলেটিকে মেনে নিতে পারেননি।

অপর দিকে, দিনেশের পরিবারের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করতে পারেনি পুলিশ। তবে কলকাতার বন্ধু রঞ্জিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন রঞ্জিত ও দীনেশ এর পরিচয় দুবাইয়ে। ওখানে দু’জন ড্রাইভারের চাকরি করতেন। ভিসা শেষ হওয়ায় দীনেশ কিছুদিন আগেই রাজস্থানে ফিরে আসেন।

বস্তুত, ১৩ জুন কলকাতায় এসে এই রঞ্জিতের ফ্ল্যাটেই ওঠেন দীনেশ ও সংগীতা।এরপর গত দু’দিন ধরে ওই ফ্যাল্ট থেকে যুগলদের বাইরে বের হতে দেখেননি প্রতিবেশীরা। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এরপর দুর্গন্ধ বের হতেই প্রতিবেশীরা রঞ্জিতকে খবর দেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে রহস্য উদ্ধার করে।