‘মাননীয়া মায়ের মতো’, হাতে মমতার ছবি, রাজীবের চোখে জল
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
২২ জানুয়ারি মমতার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন রাজীব। এক সপ্তাহের ফারাকেই ইস্তফা দিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক পদ থেকেও। এদিন নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে এসে বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদরে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ (বিমান বন্দ্যোপাধ্যয়) তাঁকে কিছু প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিয়েছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “বিধানসভার অধ্যক্ষ আইনানুগভাবে তাঁর ইস্তফা পত্র খতিয়ে দেখবেন এবং তারপরই সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
আরও পড়ুন: ‘রাজীবকে ২৫ হাজার ভোটে হারাব’, নতুন চ্যালেঞ্জ কল্যাণের
উল্লেখ্য, এ দিন তাঁর হাতে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দল ছাড়ছেন? প্রশ্নের উত্তরে ‘সদ্য প্রাক্তন’ বিধায়কের উত্তর, “আমি এখনও দলের সদস্য, যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার থাকে, কাল জানাব।” এরপরই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “মাননীয়া নেত্রী আমার মায়ের মতো। আমি তাঁর কাছে চিরঋণী থাকব। আমাকে বিধায়ক হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। এতদিন পর্যন্ত আমার পিছনে তাঁর ছবি ছিল, আগামীতেও থাকবে।”
৩১ তারিখ উলুবেড়িয়ায় অমিত শাহর সভায় দেখা যাবে তাঁকে? যোগ দেবেন কি বিজেপিতে? প্রশ্নের উত্তরে ‘না’ বলেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “সংসদীয় রাজনীতিতে নির্দল হয়ে মানুষের জন্য কাজ করা যায় না। বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে থেকেই কাজ করা যায়।” দলবদলের ক্ষেত্রে তাঁর যে মানসিক প্রস্ততিও সারা হয়ে গিয়েছে, সে কথাও লুকিয়ে রাখেননি তিনি। “মন্ত্রী সভা থেকে পদত্যাগ করার পর সাতদিন সময় নিয়েছি মানসিক প্রস্তুতির জন্য”, জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন রাজীব?
তাহলে কি শেষ পর্যন্ত পদ্মফুলেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃণমূলের প্রাক্তন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতোই রাজীবের কৌশলী ইঙ্গিত, ‘অপেক্ষা করুন, সব জানতে পারবেন। নিজেই সব জানাব।’